।। প্রথম কলকাতা ।।
দেখতে দেখতে অন্তিম লগ্নে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপের আসর। তৃতীয়বার ট্রফি ঘরে তোলার জন্য কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে দুরন্ত ফর্মে থাকা আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। যা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে চলছে চরম উদ্দীপনা। ঠিক তেমনি কে পাবে গোল্ডেন বুট নিয়ে সেই নিয়েও চলছে জোর চর্চা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। জমে উঠেছে চলতি বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটের লড়াই।
লিওনেল মেসির সঙ্গে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে রয়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। দুই পিএসজি তারকার গোল সংখ্যা ৫। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দুই তারকাই ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হবে। ফাইনালে যেই গোল করবেন সেই একে অপরকে এগিয়ে যাবেন। তবে দুজনেরই গোল সংখ্যা যদি সমান হয় তবে দেখা হবে কে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন। আর সেখানেই এমবাপেকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মেসি। শুধু তাই নয় ৪ গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেজ ও ফ্রান্সের অলিভিয়ে জিরুদ। দুটি করে গোল করলেই টেক্কা দেবেন মেসি ও এমবাপেকে।
এতো গেল চলতি বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটের লড়াই। চলুন পিছন ফিরে একবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে চোখ রাখি। দেখে নিই একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করে গোল্ডেন বুটের রেকর্ডের তালিকায় কারা রয়েছেন। গোল্ডেন বুটের রেকর্ড রয়েছে ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের দখলে। ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ১৩ গোল করে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোলের পুরষ্কারটি পেয়েছিলেন ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইন। ফন্টেইনের এই রেকর্ড চলতি বিশ্বকাপেও অটুট থাকবে কারণ মেসি বা এমবাপের পক্ষে বাকি ম্যাচে ৯ গোল করা অসম্ভব।
এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হাঙ্গেরির স্যান্ডর কোসিস। যিনি ১৯৫৪ সালের সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে ১১ গোল করে গোল্ডেন বুট পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ১০ গোল করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জার্মানির গার্ড মুলার। চতুর্থ স্থানে পর্তুগালের ইউসেবিও। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৯ গোল করে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইউসেবিও। আটটি গোল করে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন মোট তিনজন। ১৯৩০ প্রথম উরুগুয়ে বিশ্বকাপে ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট পান আর্জেন্টিনার গুইলারমো স্ট্যাবিলে। এছাড়াও ১৯৫০ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ব্রাজিলের আদেমির ও ২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট পান ব্রাজিলের রোনাল্ডো। শেষবার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে এই পুরস্কার পান ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন।