।। প্রথম কলকাতা ।।
Sheikha Mahra Wedding: বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী। রীতিমত রাজকীয় আয়োজন। গোটা বিশ্বজুড়ে এই রাজকুমারীকে নিয়ে আলোচনার শেষ ছিল না। তাকে বলা হয় অসাধারণ লাস্যময়ী সুন্দরী। তিনি হলেন শেখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম (Mahra bint Mohammed bin Rashid Al Maktoum)। লাস্যময়ী সুন্দরী এই রাজকুমারী কার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন, এই নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে উঠেছে আলোচনার ঝড়। শেখা মাহরা তার বিলাসী জীবন যাপনের জন্য বারংবার সংবাদের শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি দুবাই ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখা মাহরা এবং শেখ মানা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের ঘোষণা করেছেন। যদিও বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন কবে করা হবে সেই খবর এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে শেখা মাহরা তার বাগদত্তার সাথে বিয়ে করেছেন। দুবাইয়ের রাজকীয় বিয়ে নিয়ে চলছে আলোচনা। শেখ মাহরা শেখ মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেছেন। একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে, নব দম্পতি প্রকাশ করেছে যে তারা তাদের কিতাব আল-কিতাব উদযাপন করেছে। এর অধীনে, আনুষ্ঠানিক বিবাহ এবং বিবাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তিনি শেখ মানা আল মাকতুমের বাবার লেখা একটি কবিতা শেয়ার করেছেন। এই বিয়েটি হয়েছিল খুবই ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে, যার ছবি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যদিও এই রয়্যাল ওয়েডিং নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে আলোচনা।
দুবাইয়ের রাজকুমারী মাহরা বিনতে মাকতুম আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করছেন। মাহরা দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে। মাহরার ফ্যান ফলোয়িংও অসাধারণ। তার ছবি দেখেই বোঝা যায় তিনি বেশ স্টাইলিশ। তার শখও বেশ রাজকীয়। দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ের টুকরো মাহরাকে আরব দেশের সবচেয়ে সুন্দরী রাজকুমারী বলা হয়। তিনি শেখ রশিদের সবচেয়ে ধনী সন্তান। মাহরা খুবই বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। শেখ মোহাম্মদের পরিবার বেশ বড় এবং তিনি ৬টি বিয়ে করেছেন। তার ৬টি সন্তান রয়েছে। মাহরার মায়ের নাম গ্রিগোরাকোস। শেখ রশিদকে কঠোর পিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। শেখ তার মেয়ে মাহরাকে বাকিদের তুলনায় অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। মাহরা দেখতে অন্যান্য আরব দেশের মহিলাদের থেকে আলাদা। তিনি সবসময় উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন তার বাবা-মা তার নাম রাখেন ক্রিস্টিনা। কিন্তু পরে আরব দেশ অনুযায়ী তা পরিবর্তন করে মাহরা করা হয়। মাহরা মানে সৌন্দর্য, ভদ্রতা এবং রাজকীয় আচার-আচরণের নারী।
মাহরার মা গ্রিস থেকে এসেছেন। ধারণা করা হয়, এর কারণেই তাদের পশ্চিমা দেশগুলোর স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। শেখ ৩০ বছর আগে মাহরার বিয়ে করেছিলেন এবং বহু বছর ধরে একসঙ্গে থাকতেন। তাদের দুই সন্তান, ছেলে শেখ আবদুল্লাহ ও মেয়ে মাহারা। কিন্তু কিছুদিন পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আজও মাহরা তার মায়ের সাথে দেখা করেন এবং সময় কাটান। মাহরা জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তারপর অক্সফোর্ড এভিয়েশন কলেজে যান। এখান থেকে তিনি এথেন্সে গিয়ে বাকি পড়াশুনা সম্পন্ন করেন। মাহরা গ্রিস থেকে অশ্বারোহী খেলার প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৯ সাল থেকে দুবাইতে বসবাস করছেন এবং তার বাবার সাথে দেশকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছেন। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড নার্সারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই মাহরা ঘোড়ায় চড়ছেন। তার ১১টি ঘোড়া রয়েছে এবং সবচেয়ে দামি ঘোড়াটির দাম ৩.৬ মিলিয়ন ডলার। মাহরা ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণে বছরে ৪০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করেন। শেখ রশিদের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মাহরার রয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম