।। প্রথম কলকাতা ।।
Vigna Mungo Farming: ভারতে বিভিন্ন ধরনের ডাল চাষ করা হয়ে থাকে। কারণ ভারতের বাজারে ডালের চাহিদা বহু। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হরেক রকমের ডাল উৎপাদিত হয়। পশ্চিমবঙ্গেই (West Bengal) একাধিক রকমের ডালের উৎপাদন দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অত্যন্ত প্রচলিত এবং পরিচিত একটি ডাল হল মাসকলাই। এটি একদিকে যেমন বাণিজ্যিক কারণে চাষ করা হয় ঠিক তেমনি কাঁচা থাকাকালীন এই মাসকলাই (Vigna Mungo) পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সবুজ সার তৈরি করার জন্য মাসকলাইয়ের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজ পদ্ধতিতে চাষ করা হয় এই মাসকলাই :
* জমি এবং মাটি : মাসকলাই চাষ করার জন্য যে জমি বাছা হবে সেই জমির মাটি হতে হবে সাধারণ দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ বা পলি দোআঁশ । আর উঁচু নিচু সব জমিতেই মাসকলাই চাষ করা যায়। কিন্তু জমি থেকে জল নিষ্কাশনের পথ অত্যন্ত ভালো হতে হবে। কারণ উষ্ণ আর শুকনো মরশুমেই মাসকলায় সবথেকে ভালো ফলন দেয়।
* বীজ বপন পদ্ধতি : মাসকলাই চাষ করার একেবারে উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ( February to September) মাস পর্যন্ত। এই সময়তেই সাধারণত মাসকলাইয়ের বীজ বপন করা হয়। প্রতি হেক্টরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি বীজ বপন করা হয়ে থাকে। বীজের অপচয় কমানোর জন্য মাসকলাইয়ের বীজ সারিতে বপন করা উচিত । যদিও কোন কোন কৃষক ছড়িয়ে ছিটিয়ে বীজ বপন করেন । সারিতে বীজ বপন করতে গেলে একটি সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব হতে হবে কম করে ৩০ সেন্টিমিটার। আর গর্তের গভীরতা হতে হবে দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার।
* সার প্রয়োগ ও সেচ : মাসকলাই চাষ করার জন্য জমি তৈরির পর সার প্রয়োগ করতে হয় । তবে এই জমিতে যদি জীবাণু সার প্রয়োগ করা থাকে তাহলে আর আলাদা করে ইউরিয়া সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বীজ বপন করার ক্ষেত্রে যদি মাটিতে কম রস রয়েছে এমন মনে হয় তাহলে হালকা করে সেচ দিতে হবে । এছাড়াও মাটিতে রসের ঘাটতি আটকানোর জন্য নিয়মিত সেচ প্রয়োজন । এতে বীজের অঙ্কুরোদগম বেশ ভালো হয়।
* পোকা-রোগ এবং আগাছা দমন : মাসকলাই পাতায় এক ধরনের রোগ দেখা যায়। যেখানে পাতার উপরের দাগ ফুটে ওঠে। আর তারপর পাতা ছিদ্র হয়ে যায়। এই রোগ দমন করার জন্য গাছে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করতে হয় । এছাড়াও মাসকলাইয়ের জমিতে কোনভাবেই আগাছা যাতে ভরে না ওঠে তার জন্য কুড়ি দিন অন্তর অন্তর জমি পরিষ্কার করতে হয়।
* ফলন সংগ্রহ : মাষকলাইয়ের ফল পরিপক্ক হলে সেগুলি গাছ থেকে সংগ্রহ করে নেওয়া হয়। আর তারপর সেগুলিকে রোদে শুকাতে হয়। লাঠি দিয়ে বারবার আঘাত করে ডাল গুলিকে আলাদা করতে হয়। ডাল বা বীজগুলিকে রোদে ভালোভাবে শুকানোর পরে তা সংরক্ষণ করা হয়। সঠিক পদ্ধতিতে যদি চাষ করা যায় তাহলে গড়ে প্রতি হেক্টরে প্রায় মাসকলাই ডাল পাওয়া যায় দেড় থেকে দুই টন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম