।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangles Of Women: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলাদের দেখেই বোঝা সম্ভব যে তাঁরা বিবাহিতা নাকি অবিবাহিতা। কারণ হিন্দু ধর্মে বিবাহিতা মহিলাদের সাজগোজ কিছুটা আলাদা হয়। একে ষোলা শৃঙ্গার বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে এমন বহু জিনিস রয়েছে যেগুলি অবিবাহিতা মহিলারা পড়ে না কিন্তু বিবাহিতা মহিলারা অবশ্যই পড়েন। যেমন সেই তালিকায় রয়েছে মঙ্গলসূত্র, সিঁদুর, চুড়ি, লাল টিপ সহ আরও অনেক কিছুই। যদিও কালের স্রোতে ভেসে বর্তমানে বিবাহিতা মহিলাদের (Married Women) সাজগোজেও বিস্তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । কিন্তু একজন বিবাহিত মহিলা এত রকমের জিনিস না পড়লেও অন্তত পক্ষে হাতে কয়েকটি চুড়ি (Bangles) অথবা লাল পলা রাখেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, বিবাহিত মহিলাদের কখনই খালি হাতে থাকতে নেই। কারণ তাদের হাতের চুড়ি স্বামীর দীর্ঘায়ু থেকে শুরু করে সংসারের সুখ-শান্তি সবকিছুর কারণ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, যে সকল বিবাহিতা মহিলারা হাতে চুড়ি পড়ে থাকেন তাঁর সংসারে সুখ সমৃদ্ধি এবং শান্তি সর্বদা বজায় থাকে। আবার স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি পায় স্ত্রী হাতে চুড়ি পরে থাকলে। দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত সুখের হয়। যদি কোন বিবাহিতা মহিলা হাতে চুড়ি না পড়েন সে ক্ষেত্রে তাঁর স্বামীর আয়ু কমতে পারে আবার স্বামীকে নীরোগ জীবন দানে স্ত্রীর হাতে চুড়ির মাহাত্ম্য নাকি অনেক বেশি।
বাস্তুশাস্ত্রে কী বলে ?
বাস্তুশাস্ত্রে (Vastu Shastra) যে সকল বিষয় সম্পর্কে বলা হয়, তাদের একটি যুক্তিসম্মত দিক থাকে। মহিলাদের হাতে চুড়ি পরার বিষয়টিও বাস্তুশাস্ত্র বলা হয়েছে। এটি সংসারের জন্য লাভজনক, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর নেপথ্যে একটি পজিটিভ এনার্জির (Positive Energy) কথা বলা হয়েছে। বাস্তু বলছে, মহিলাদের হাতে চুড়ি থাকলে নানান কাজে সারাদিন বাড়ির মধ্যে একটা সুন্দর শব্দ শোনা যায়। চুড়ি নড়লেই সেই শব্দ হতে থাকে আর এই শব্দ বাস্তু মতে অত্যন্ত শুভ, যা পজিটিভ এনার্জি তৈরি করে।
বিজ্ঞান কী বলছে ?
বাস্তুশাস্ত্রে বলা রয়েছে এমন বেশ কিছু জিনিসকে সম্মতি জানায় বিজ্ঞানও। তার মধ্যে একটি হল মহিলাদের হাতে চুড়ি পরার বিষয়টি। এর একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানুষের হাতের কব্জির ৬ ইঞ্চি নিচে একটি অ্যাকুপ্রসার পয়েন্ট থাকে। ওই বিশেষ জায়গায় চাপ দিয়ে শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করা যায়। মহিলারা যখন হাতে চুড়ি পরেন তখন বিভিন্ন কাজের সময় ওই অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্টে চুরির ঘষা লাগে। অনেক সময় চাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে দেহে একটি এনার্জি তৈরি হয়। আর ওই এনার্জি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে মহিলাদের হার্টের অসুখ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কমতে পারে। এমনটাই বলছে বিজ্ঞান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম