।। প্রথম কলকাতা।।
Manipur Peace Deal: মণিপুরে মোদী-শাহের বড় সাকসেস! মণিপুরের বিষদাঁত তুলে ফেলা গেল। এমনও হতে পারে চীন-মায়ানমার চমকে গেল। মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন আর অস্ত্র ধরবে না, কেন? শাহের কোন টোটকায় এমন অসাধ্য সাধন হল? তাহলে কি এটা এবার বলা যেতে পারে যে মণিপুরে এবার শান্তি নেমে আসবে ধীরে ধীরে? চীন আর মায়ানমার দুটো পড়শি দেশ যতই উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন সেভাবে কাজ হবে না তাতে। কারণ মোদী ও শাহের কামালে মণিপুরের আসল বিষদাঁতটাই তুলে ফেলে দেওয়া হল। মায়ানমারের জুন্টা চরমভাবে হতাশ কেন জানেন? কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করল মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (UNLF)। এই ইউএনএলএফ হল মৈতিই সম্প্রদায়ের এক্সট্রিমিস্টদের সংগঠন। যারা মণিপুরের অশান্তির সম্পর্কে একটু আধটুও জানেন। তাদের মনে থাকবে এই মৈতিয়িরাই থাকেন মণিপুরের ইমফল উপত্যকা অঞ্চলে। আর যারা কুকি মানে যাদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় তারা বসবাস করেন মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা গুলোতে।
এখন প্রশ্ন হল মায়ানমারে যখন অশান্তি বাড়ছে সেইআবহে মণিপুরে এই শান্তিচুক্তি করল কীভাবে মোদী সরকার? যাদের সম্প্রতি ব্যান করেছিল কেন্দ্র তার মধ্যেও কি ছিল নাকি ইউএনএলএফের নাম? ষাটের দশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম মেইতেই রাষ্ট্রের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। এর মানে ভারতের থেকেই আলাদা হতে চেয়েছিল এরা। ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ একে মণিপুরের ওল্ডেস্ট গ্রুপও বলতে পারেন আপনি। এরা ৫৯ বছর ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছিল বর্তমানে সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিপুরি রাজবংশের সন্তান আরকে মেঘেন ওরফে সানা ইয়াইমা এবং একদা জনপ্রিয় মণিপুরি গায়ক তথা সংগীতকার নংমৈথেন পাহাড়ি। ১৯৯০ সালে এই ইউএনএলএফএর সশস্ত্র বাহিনী মণিপুর পিপলস আর্মি তৈরি করা হয়। এই গোটা গোষ্ঠীতে ৪০০ থেকে ৫০০ জন জঙ্গি আছে বলে মনে করা হয়। মায়ানমারের জুন্টা এদের অস্ত্র থেকে অর্থ বড় লেভেলে সাহায্য পৌঁছে দিত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায় বুধবার শান্তি চুক্তি সইয়ের পরেই মেইতেই জঙ্গি গোষ্ঠী ইউএনএলএফের গেরিলারা অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে এটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এবার গেরিলারা ফিরে আসুক মূলস্রোতে, কিন্তু কেন ইউএনএলএফ শান্তিচুক্তি করল আচমকাই? আগামী পাঁচ বছরের জন্য মণিপুরের ৯ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই ভয়েই কি এগিয়ে এল ইউএনএলএফ। যদিও সেই তালিকায় নাম ছিল না ইউএনএলএফের। জানা যাচ্ছে মণিপুরের সবচেয়ে পুরনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন
ইউএনএলএফই হিংসা ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে রাজি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে ইউএনএলএফের চুক্তির দিনই মণিপুরে মৈতেই গোষ্ঠীগুলোর উপরে নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে চেয়ে ট্রাইব্যুনাল তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কট্টরপন্থী মেইতেই সংগঠন ‘কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ’ (KYKL) মেইতেই সমন্বয় কমিটি (কোর কম) এবং ‘অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক’(ASUK)-ও রয়েছে এই তালিকায়। চিনা মদতপ্রাপ্ত ককু-জ়ো জঙ্গিগোষ্ঠী কুকি ন্যাশনাল আর্মি কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট, ইউনাইটেড কুকি লিবারেশন ফ্রন্ট মণিপুরে সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল শাহের মন্ত্রক। যে ট্রাইবুনাল তৈরি হয়েছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন গুয়াহাটি হাই কোর্টের এক বিচারক। এবার দেখার এই ট্রাইবুনাল অভিযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কী স্টেপ নেয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম