।। প্রথম কলকাতা।।
আজ ধর্মতলায় এসে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এখানে এসে ঘাসফুল শিবিরকে উৎখাত করার ডাক দেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধি সংশোধন করতে সংসদে যে তিনটি নতুন আইন আনার চেষ্টা করছে , সেই বিল নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কীসের? প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলা ভালো, এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চে উঠে শুরু থেকেই রণংদেহি মেজাজে দেখা যায় অমিত শাহকে। সুর চড়ান রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। শাহ বলেন, ‘সংসদের পবিত্রতাও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা কালিমালিপ্ত করেছে । তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য গোটা ভারতে বাংলার নাম ডুবিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত বিলগুলির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গকে সামনে রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির বা দেওয়ানি বিধির মতো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আইনগুলিতে যদি অতি সক্রিয়তার সঙ্গে পরিবর্তন আনা হয় তাহলে দেশের জনজীবনে বড় প্রভাব পড়বে। এই আইন নিয়ে এলে মানুষের অধিকার খর্ব হবে বলেও আগাম জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে , অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কি এই তিন আইন ?
মোদী সরকার যে তিন বিল পাশ করতে চলেছে সেগুলি হল শীতকালীন অধিবেশনে ভারতীয় ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিধির নাম বদল করার কথা। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দ্বারা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ। সংসদে ইতিমধ্যেই পেশ হয়েছে সেই বিল ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম