।। প্রথম কলকাতা ।।
Indian Army In Maldives: ইন্ডিয়ান আর্ম সরিয়ে চরম বোকামি করল মালদ্বীপ? চীন অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরবে মালদ্বীপ শ্বাস নিতে পারবে তো? মোদী খেললেন বিচক্ষণ এক খেলা। এবার মইজ্জু ঠেলা বুঝবেন। কে শত্রু কে বন্ধু সময়ই দেবে পরিচয়। কনফার্ম হয়ে গিয়েছে মালদ্বীপ থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিকে সরিয়ে নেবে ভারত। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে কনফার্ম করেছেন তাঁকে। অনেকেই বলছেন তাহলে আর কী এবার চীনের নাগপাশে জড়িয়ে পড়ার পালা? মালদ্বীপ কতবড় ভুল করল তাদের দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে? এবার চীনের জন্য খোলা ময়দান ভারত মহাসাগর। আর বেজিং মালদ্বীপকে গ্রাস করলে ছোট্ট একটা দেশ কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবেন? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি মইজ্জু হয়ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারলেন।
মালদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহঃ মইজ্জু চীনপন্থী সেটা অনেকেরই জানা। তাই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল তিনি ক্ষমতায় এলেই কোনওভাবে ভারতের সেনার মালদ্বীপে টিকতে দেবেন না। তেমনটাই হল দিলেনও না সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনাও করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি জানান ভারতও সম্মত হয়েছে ৭৫ জনের সেনার টিম মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নিতে। মালদ্বীপকে ২০১০ ও ২০১৩ সালে দুটি হেলিকপ্টার এবং ২০২০ সালে একটি ছোট উড়োজাহাজ উপহার হিসেবে দিয়েছিল দিল্লি। দিল্লি বলেছিল, উড়োজাহাজগুলো অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা এবং আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। ২০২১ সালে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় ভারতীয় উড়োজাহাজগুলো পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারতের সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫ জন সদস্যকে মালদ্বীপে মোতায়েন করা হচ্ছে। তারপর থেকেই মালে ও দিল্লি মধ্যে আবছা দ্বন্দ্ব শুরু।
এখন প্রশ্ন হল ভারতের সেনা সরে যাওয়ার পর মালদ্বীপের অবস্থা কি হবে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাধিকের মত বলছে ভারতীয় আর্মি বের করার পর প্রধানত কূটনৈতিক এক কার্ড হারাবেন মইজ্জু যা দিয়ে তিনি চীনকে বা তাঁর চীনপ্রীতি ব্যালেন্স করতে পারতেন তিনি। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতকে বিরোধিতা করা ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে দূরত্বে বাড়াবে মালের। যেমন ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো কূটনৈতিকভাবে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে কিন্তু ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা উপস্থিতি বৃদ্ধি ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। অন্যদিকে, ভারতের উচিত এই মুহুর্তে একটি বিকল্পের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা। ভারতের টার্গেট মালদ্বীপ নয় ভারত মহাসাগর যদি তারা একটি বিকল্প খোঁজে অথবা কেবলমাত্র আরও উত্তরে ল্যাকাডিভ রিজের একটি ভারতীয় দ্বীপে সৈন্য এবং রাডার স্টেশন স্থাপন করে তবে তাতে কিছুটা চীনের ওপর নজরদারি রাখা সম্ভব।
ভারতের সেনা সরে গেলেও মালদ্বীপে একের পর এক বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের। এছাড়া ভারত মহাসাগরে স্ট্রং প্রেজেন্স রয়েছে ভারতের, এছাড়াও মালদ্বীপকে কোনওদিনও ঋণের ফাঁদে বেজিং ফেলতে গেলে ভারত হয়ত বড় ভাইয়ের মতো মালদ্বীপকে বাঁচাতেও পারে। তাই মালদ্বীপ বড় ভুল করলেও তার এফেক্ট ভারত ভারত মহাসাগরে যে পড়তে দেবে না সেটা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম