।। প্রথম কলকাতা ।।
Herbal Garden: হাজারো অসুখের মোক্ষম দাওয়াই হল ভেষজ উদ্ভিদ। সেই প্রাচীনকাল থেকে মুনি ঋষিরা ভেষজ উদ্ভিদের পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে নানান গাছ-গাছড়ার ব্যবহার হয়ে থাকে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি এমন উদ্ভিদ রয়েছে যা ওষুধ তৈরিতে নানান ভাবে ব্যবহার হয়। যার মধ্যে বহু গাছ আমাদের চারিপাশের পরিবেশেই রয়েছে। অথচ সেই গাছ অযত্নে অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র সংরক্ষণের অভাবে আমরা তাদের হারিয়ে ফেলি। কখনো বা ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব মানুষ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে না। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। অনেকেই ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব বোঝেন এবং যত্ন করে কিনে বাড়িতে চাষ করেন। ভেষজ উদ্ভিদ চাষ অত্যন্ত লাভবান। অন্যান্য গাছের পাশাপাশি বাড়িতে বসেই এই চাষ করতে পারেন। তাছাড়া বাড়িতে কয়েকটা ভেষজ গাছ লাগলে অনেক উপকারে আসে। পরিবেশ ভালো থাকে চরম বিপদে ভেষজ উদ্ভিদ হঠাৎ করে কাজে আসতে পারে।
বাড়ির ছাদের টবেই চাষ করতে পারেন ঘৃতকমল, তুলসী, বাসক, নিমসহ নানান ঔষধি গাছ। পাশাপাশি ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করে আপনি মুনাফা অর্জন করতে পারেন। ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করা একেবারেই কষ্টের নয়। প্রয়োজন শুধুমাত্র সামান্য পরিচর্যার। আপনাকে বাজার থেকে সেভাবে কোন কৃত্রিম কীটনাশক সার কিনতে হবে না। অনায়াসে সামান্য জায়গাতেই চাষ করতে পারবেন উলটকম্বল, পদ্মগুরুস, তুলসী, ঘৃতকমল, বাসক, কালমেঘ নিম প্রভৃতি গাছ।
•ভেষজ উদ্ভিদ চাষ ঝুঁকি ছাড়া মাত্র সামান্য পুঁজিতেই অধিক লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী প্রথমে ঔষধি গাছগুলিকে বেছে নিন। কোন গাছ কোন মাটিতে হবে কোন সময় পুঁতবেন সেই নিয়ম জানা দরকার। যদি নিমগাছ রাখেন তাহলে বর্ষার শুরুতে জুন থেকে আগস্টের মধ্যে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। নিমগাজ ভালো হয় বেলে মাটিতে। খেয়াল রাখবেন গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে।
•যদি ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা গাছ চাষ করে থাকেন তাহলে খুব একটা পরিচর্যার দরকার পড়বে না। একটি গাছ থেকে প্রায় আপনি ৬০ থেকে ৭০ টি মতো পাতা বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে ঘৃতকুমারীর চাহিদা প্রচুর। মূলত জুন মাসের শুরুতে এই গাছ লাগালে সবথেকে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। ভরা বর্ষাকালে ঘৃতকুমারীর চারা না লাগানোই ভালো। বালি মেশানো দো আঁশ মাটিতে এই গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। এই গাছ এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে বেশ ভালো রোদ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখবেন গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন জৈব সার।
•যদি থানকুনি লতা লাগান তাহলে একটু আদ্র জায়গা বেছে নেবেন। খেয়াল রাখবেন যেন সেই জায়গা বেশিরভাগ সময় একটু ভেজা থাকে। বসন্তকালে থানকুনি লতার ফুল আসে আর গ্রীষ্মকালে সেই ফল পাকে। যে কোনো আদ্র জায়গাতেই থানকুনি চাষ করতে পারেন।
•অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল পুদিনা। সুগন্ধী রন্ধন কিংবা ঔষধ তৈরিতে এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। সাধারণত আদ্র আবহাওয়ার মাটিতে এটি বেশ ভালো হয়। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পুদিনা চাষের মোক্ষম সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম