।। প্রথম কলকাতা ।।
Amra chutney: শীত মানেই দুপুরে একটু আলসেমি ভাব আর টক খাওয়ার ইচ্ছা। এখনো বহু গৃহস্থ বাড়িতে শীতের রোদে বসিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন আচারের জার। অনেকেই দুপুরের খাবারের তালিকায় রোজ যোগ করেন টক মিষ্টি একটু চাটনি। চাটনি সঙ্গে আচার গুলিয়ে ফেলবেন না। অনেকেই প্রথমে ভেবে নেন চাটনি তৈরি করা খুব একটা সহজ নয়। যদিও যারা রন্ধনে পটু তাদের কাছে এসব কোনো ব্যাপার নয়। শীতকালে ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের চাটনি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে একটু ব্যতিক্রম ঘরানার দুর্দান্ত স্বাদের চাটনি হল আমড়ার চাটনি। বাজারে মূলত দুই ধরনের আমড়া পাওয়া যায়। যার মধ্যে এক ধরনের আমরাকে অনেকেই তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেন, আবার কেউ বা তকমা দেন ‘বুনো’ বলে। বাজারেও এই আমড়া অত্যন্ত সস্তা দরে বিকোয়। দাম কম হলেও এর স্বাদ অন্যান্য যে কোন টকফলের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে। এর স্বাদ পেতে শীতের দুপুরে একদিন বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই আমড়ার চাটনি। রইল এক্কেবারে সোজাসাপ্টা পদ্ধতি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
•মাঝারি মাপের চারটি কাঁচা আমড়া
•১/২ টেবিল চামচ নুন
•১ চা চামচ হলুদ
•শুকনো লঙ্কা ১টা
•১ টেবিল চামচ তিল বাটা
•২ টেবিল চামচ তেল
•১টেবিল চামচ সাদা সরষে বাটা
•১ চা চামচ পাঁচফোড়ন
•৩ টেবিল চামচ চিনি
•প্রয়োজন মতো জল
পদ্ধতি
স্টেপ ১:- প্রথমে আমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। আপনি চাইলে কয়েক টুকরো করে কেটে নিতে পারেন, তবে আমড়া গোটা রাখলে ভালো।
স্টেপ ২:- কড়াইতে এক কাপ মতো জল দিয়ে সামান্য লবণ দেবেন। সেই জলে আমড়া গুলি ভাপিয়ে নেবেন। তারপর ভালোভাবে জল ঝরিয়ে রেখে দেবেন।
স্টেপ ৩:- কড়াই গরম হলে একে একে দিয়ে দেবেন শুকনো লঙ্কা এবং পাঁচফোড়ন। তাতে জল ঝরিয়ে রাখা আমরা গুলি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়বেন। একটু শুকনো হলে তাতে একে একে দিয়ে দেবেন পরিমাণ মতো লবণ এবং হলুদ। আপনি যদি টক বেশি ভালোবাসেন তাহলে লবণের পরিমাণ কম দেবেন।
স্টেপ ৪:- এবার তিল বাটা আর সরষে বাটা দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভালোভাবে কষাবেন। একটু শুকনো হয়ে গেলে দিয়ে দেবেন ২ কাপ জল। জলটা কিছুক্ষণ ফুটলে দেবেন চিনি। যদি খুব বেশি টক খেতে না পারেন তাহলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চিনির পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
স্টেপ ৫:-ঢাকা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফোটানোর পর জলের পরিমাণ কমলে, তৈরি দুর্দান্ত স্বাদের আমড়ার চাটনি।
শীতের দিনে একবার এই চাটনি বানিয়ে ২৪ঘন্টা পর্যন্ত রাখতে পারেন। ফ্রিজ রাখলে আপনি দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে এই চাটনি খেতে পারবেন। প্রতিদিন মাছ-মাংস খেতে খেতে যদি একঘেয়েমি অনুভব করেন, তাহলে শেষ পেতে রাখতে পারেন এই চাটনি। মুখের রুচি ফেরাতে এর জুরি মেলা ভার।
উপকার
আমড়ায় রয়েছে হাজারো জাদুকরী গুণ। এটি ত্বকের প্রাণশক্তি উন্নত করতে। ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে এবং ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাবগুলিকে বিপরীত করতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি মহিলাদের জন্য উপকারী। আমড়া হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্যের পাশাপশি অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে। আমড়া হল ভিটামিন A-এর একটি ভালো উৎস যা চোখ, ত্বক এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এছাড়াও এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম