।। প্রথম কলকাতা ।।
Makar Sankranti 2023: হিন্দু ধর্মে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তি(Makar Sankranti) উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায়( Gangasagar Mela) লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান। মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যদেব মকর রাশিতে প্রবেশ করেন। আর এই দিন শেষ হয় খর সময় অর্থাৎ এই দিন সমস্ত রকম মাঙ্গলিক কাজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। অনেকেই মকর সংক্রান্তির পর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু করে। যেমন গৃহপ্রবেশ, উপনয়ন, বাগদান, বিয়ে প্রভৃতি শুভ অনুষ্ঠান সারতে পারেন। মকর সংক্রান্তিতে দান কাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথায় আছে ‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’। মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে গঙ্গাসাগর মেলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ ভিড় জমান। এখানেই রয়েছে পবিত্র কপিল মুনির আশ্রম। কুম্ভ মেলার পরে গর্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা।
বহু পুণ্যার্থী মকর সংক্রান্তির দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন। এই দিন তারা সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করে স্নান করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মকর সংক্রান্তিতে সামান্য কয়েকটি কাজের মাধ্যমে পুণ্য অর্জন করা যায়। এই সংক্রান্তিতে বাড়িতে বাড়িতে পিঠে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এখনো গ্রামাঞ্চলে মাটির উনুনের উপর মাটির খোলায় পিঠে তৈরি করা হয়। বাঙালি উপভোগ করে পৌষ পার্বণ উৎসব। এই দিন আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী অবশ্যই অভাবী ব্যক্তিকে কোন কিছু দান করবেন। বিশেষ করে তিল দান করা শুভ বলে। যে ব্যক্তি দান করেন তার জীবনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণের পাশাপাশি ভগবান সূর্যের আশীর্বাদ লাভ করেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, ২০২৩ এ মকর সংক্রান্তি কিছু কিছু রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মকর সংক্রান্তির পরের পর থেকেই কিছু রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্যে পরিবর্তন আসতে চলেছে। বিশেষ করে উপকার পাবেন মেষ, বৃষ, সিংহ, কর্কট, মিথুন এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকারা। মনে করা হয়, মকর সংক্রান্তিতে মকর রাশিতে সূর্য, শনি ও শুক্র এই তিন গ্রহের মিলনে ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হয়েছে। আর তার কারণেই সব রাশির ভাগ্যে কম বেশি বদল আসবে।
জল নিবেদনে যে ভুল করবেন না!
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মকর সংক্রান্তির দিনে কেউ যদি সামান্য পরিমাণে গুড় খান তাহলে তার ওপর সূর্য দেবতা প্রসন্ন হন এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এই দিন গুড় খেলে নানান জটিল রোগ থেকে মুক্তি মেলে। এগুলি মূলত প্রচলিত ধ্যান ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই দিন সূর্য দেবকে সন্তুষ্ট করতে জল নিবেদনের সময় অবশ্যই তাতে ফুল আর চাল যোগ করবেন। খেয়াল রাখবেন, সূর্যদেবকে জল নিবেদনের সময় যেন সেই জলের ছিটা আপনার পায়ে না পরে, প্রয়োজনে জল দেওয়ার সময় একটি বালতি বা বাক্স কাছে রাখুন। জল দেবার পর অবশ্যই তিনবার প্রদক্ষিণ করবেন। সূর্য দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদনের ক্ষেত্রে উপবাস করা উচিত। আরো ভালো হয় যদি জল অর্পণের ক্ষেত্রে তামার পাত্র ব্যবহার করেন। এই দিন ভুলেও কোন তামসিক খাবার ছোঁবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম