।। প্রথম কলকাতা ।।
দীর্ঘদিন বিদেশে থেকেও নিজের দেশকে ভুলে যাননি প্রবাসে ঘরকন্নার মহুয়া। এই ভিডিওটি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে মহুয়া লিখেছেন পাড়ার পুজো শুরু হল। ভিনদেশে থাকা মানেই আদব কায়দা বদলে যায় অনেকেরই কথা বলার ধরণই পাল্টে যায়। কিন্তু মহুয়া প্রতিদিন প্রতিটা মুহূর্তে বাংলাকে জড়িয়ে রয়েছেন সুদূর ক্যালিফোর্নিয়াতে। প্রবারে ঘরকন্যার পাড়াতেও মা দুর্গা আসছেন। বছরের এই সময়টা মহুয়ার মনে একটু বেশি আনন্দ কেন জানেন? মহুয়ার পাড়ায় বিদেশের মাটিতে কীভাবে পুজোর আয়োজন হয়? চলুন আজ প্রবাসে ঘরকন্যার মহুয়ার বাড়ি থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি আপনাকে।
ক্যালিফোর্নিয়াতে থেকেও মহুয়ার মন পরে থাকে বাংলায়। দেশের সংস্কৃতি, উৎসবকে দূরে থেকেও চেষ্টা করেন উপভোগ করতে। ছেলে মেয়েকেও শেখান। তাই তো মহুয়ার ছোট মেয়েটাও গড়গড় করে বাংলা বলে দিব্যি। সরস্বতী পুজো হোক বা যে কোনও উৎসব নিজে সুন্দ করে সাজেন, পরিবারকে সাজান মহুয়াদি দুই ছেলে মেয়েকে শেখান বাংলার ঐতিহ্য। বাংলাতেই সব সময় কথা বলেন যাতে। সন্তানরা মাতৃভাষাকে চিনতে পারে জানতে পারে। আর মহুয়া দুর্গাপুজোয় সামিল হবেন না তা কী করে হয়। বিদেশে পাড়াতেই মায়ের আরাধনা হয়। তবে এখানকার মতো চারদিন ধরে নয়। ওদেশে উইকএন্ডে পুজো হয়। সব বাঙালিরা একসাথে জড়ো হন। মহুয়ার পাড়ার পুজোর আয়োজন শুরু হয় ডান্ডিয়া নাচ দিয়ে। বাঙালি কমিউনিটি যে খানে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। হিন্দি বাংলা গানের তালে নাচে ছোট থেকে বড় সবাই। মহুয়া পুরনো শাড়ি পরলেও তার স্বামী ছেলে সেজেছিল নতুন পোশাকে। একদম ভারতীয় সাজ। এই পরিবারকে দেখে চোখ জুড়ান নেটিজেনরাও।
বছররে এই সময়টা আনন্দের জোয়ারে গা ভাসান মহুয়াও। দেশ থেকে কুরিয়ারে নতুন পোশাক আসে। স্বামী সন্তানের সাথে নিজেও সাজেন। সব সময় তো আর বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না স্বামীর কাজের সূত্রে ভিন দেশে থাকা তাও যতটা পারা যায় দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা। কুরিয়ারে আসা নতুন পোশাক পরেই দুর্গাপুজোয় অংশ নেন মহুয়া। সে এক আলাদাই অনুভুতি। আসলে ভুলে যেতে বেশি সময় লাগে না কিন্তু আঁকড়ে বেঁচে থাকাটাই তো আসল। সেটাই বিদেশে থেকেও করে চলেছএন মহুয়া। নিজের বড় হওয়ার সাথে পরিচয় করে দিচ্ছেন সন্তানদের। তাই তো প্রবাসে ঘরকন্যার ভ্লগ আসলেই সাথে সাথে তার লক্ষ লক্ষ ভিউজ হয়ে যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম