।। প্রথম কলকাতা ।।
Rice Starch for Hair and Skin : বাঙালি বাড়িতে প্রতিদিন ভাত রান্না হবে না তা হতেই পারে না। একবেলার জন্য হলেও খাবার টেবিলে ভাত অবশ্যই চাই। তাই এই সকল বাড়িতে খুব সহজেই পাওয়া যায় ভাতের ফ্যান বা ভাতের মাড়। ভাত হয়ে যাবার পরে সেটাকে ঝড়ঝড়ে করার জন্য ভালোভাবে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেন সকলে। কারণ মাড় যদি ভাতে টেনে যায় তবে সেই ভাত খেলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাত ঝরঝরে করার পরে যে মার বেঁচে গেল তা কিন্তু ফেলে দেবেন না। কারণ সেটার রয়েছে অনেক গুণ।
ভাতের ফ্যানে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। এছাড়াও অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই ভাতের ফ্যানকে তাই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চোখ বুজে বিশ্বাস করা যেতে পারে। জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় আপনার ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার জন্য কী কী ভাবে সাহায্য করতে পারে।
১. ভাতের মাড়ে থাকে ইনোসিটল নামে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। যা রুক্ষ এবং দুর্বল চুলকে সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে। এতে চুল হয় উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যবান। গোড়া হয় মজবুত এবং মসৃণ হয় চুল।
২. আপনার ত্বকে যদি অস্বস্তিকর জ্বালা ভাব, চুলকানি কিংবা লালচে ভাবের সমস্যা থাকে তবে প্রতিদিন স্নানের জলে ভাতের মাড় মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যাগুলি থেকে দ্রুত আরাম মেলে।
৩. ব্রণর সমস্যায় বহুদিন ধরে ভুগছেন অথচ কোন কিছুতেই কমাতে পারছেন না ? ভাতের মাড় ঠান্ডা করে ব্রণ হওয়া মুখের সেই অংশে তুলো দিয়ে লাগান। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই ভাতের মাড় লাগাতে পারলেই ব্রণ ফুসকুড়ির মত সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন দ্রুত।
৪. সান বার্নের সমস্যায় ভাতের মাড় ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে । রোদে পোড়া হাতে পায়ের অংশে যদি নিয়মিত মাখা হয় এই মাড় তবে সতেজতা বজায় থাকবে ত্বকের। আর্দ্র থাকবে ত্বক।
৫. চুলে ডগা ফাটার সমস্যার সম্মুখীন আমরা সকলেই হই। এক্ষেত্রে ভাতের মাড়ে জল মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিতে হবে। আর তারপর শ্যাম্পু করার পর পরিষ্কার জলের বদলে ওই ভাতের মাড় মেশানো জল চুলে দিয়ে মিনিট তিনের মত রেখে তারপর ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এই পদ্ধতিতে চুল ধুলে চুলের গোড়া হবে আরও মজবুত এবং চুলে ফিরে আসবে চকচকে ভাব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম