।। প্রথম কলকাতা ।।
Durgapur: শীতকাল মানেই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে মেলার প্রস্তুতি। আর দুপুরের হালকা রোদ গায়ে মেখে সেই সমস্ত মেলায় পৌঁছে যেতে বেশ পছন্দ করেন মানুষ। তার ওপরে যদি শীতকালে লোকালয়েই মাছের মেলা বসে তাহলে তো কথাই নেই। ভোজনবিলাসী বাঙালি তাদের জিহ্বাকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মাছের স্বাদ দিতে এসে উপস্থিত হয়েছেন দুর্গাপুরের (Durgapur) হর্ষবর্ধনের মাঠে। কারণ সেখানেই রবিবার ছুটির দিনে আয়োজন করা হয়েছে মৎস্য মেলার। যা বিগত বছর থেকে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দুর্গাপুরবাসীর কাছে।
দুর্গাপুরের প্রাক্তন পুরপিতা পল্লব রঞ্জন নাগের উদ্যোগে এই মৎস্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। একটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে দুর্গাপুরের মৎস্য মেলা। রবিবারের ছুটিতে কাজে লাগিয়ে দুপুরের রান্নাবান্না বন্ধ রেখে মেলা প্রাঙ্গনে এসে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। কারণ একটা দিন কিছুটা অন্যরকম ভাবে কাটাতে চাইছেন তাঁরা। পরিবার-পরিজন বন্ধুবান্ধব সকলকে নিয়ে মাছের মেলায় হরেক রকম মাছের আইটেম (Fish Items) চেখে দেখার সুযোগ কি ছেড়ে দেওয়া যায় ? এই কারণেই সেই সুযোগ ছাড়ছেন না দুর্গাপুর থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষও।
এই দিন দুর্গাপুর নগর নিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুরের হর্ষবর্ধন মাঠে মৎস্য মেলার (Matsya Mela) উদ্বোধন করেন। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই কাতারে কাতারে লোকের ভিড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে সেখানে। বলাবাহুল্য তাঁরা সকলেই কমবেশি মৎস্যপ্রেমী। শ্রেয়া চ্যাটার্জী যিনি তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়েছেন, তিনি বিভিন্ন স্টল থেকে মাছ চেখে দেখার পর জানালেন এই অভিজ্ঞতা বেশ অন্যরকম। এর ভরপুর আনন্দ নিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টলের ছোট মাছের আইটেম খাওয়া হয়েছে। তবে তালিকায় এখনও রয়েছে বড় মাছের পদ।
আরও এক মৎস্যপ্রেমী জানান, মৎস্য মেলার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। আর এই অনুষ্ঠানকে যে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছে তা জানান দিচ্ছে দলে দলে আগত মানুষের ভিড়। গত বছরের পর এই বছরেও যে মেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে তার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি । পাশাপাশি তাঁর বাড়তি সংযোজন, “প্রায় ষোল রকম মাছের ভ্যারাইটি দিয়ে মাছ ভাত জমে যাবে”।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম