।। প্রথম কলকাতা ।।
Health Care: দিনের পর দিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণের( pollution) পরিমাণ। বিশেষ করে যারা দৈনিক অফিসে যান তাদের রাস্তার ধুলো ধোঁয়াকে ফেস করতে হয়। তার উপর নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। যদিও করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, তাও শরীর দুর্বল করে দফারফা করে দিতে পারে এই ভাইরাস। এক্ষেত্রে ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফুসফুসের( lungs) যত্ন নেওয়ার জন্য নানান ব্যায়াম রয়েছে। তবে আপনার রান্নাঘরে থাকা কয়েকটি খাবার দিয়ে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে পারেন।
কীভাবে ফুসফুসের ক্ষতি হয় ?
বায়ু দূষণ( air pollution), ধূমপান( smoking) এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার( unhealthy food) আপনার ফুসফুসকে দুর্বল করে দেয়। একই সময়ে, টক্সিন এবং দূষিত কণা ফুসফুসে জমা হয়। যার কারণে অ্যাজমা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, পালমোনারি ফাইব্রোসিস ইত্যাদি সমস্যার ঝুঁকি থাকতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
• মুসুর ডাল
মসুর ডালে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান ফুসফুসের জন্য কার্যকরী করে তোলে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ধূমপান করেন তাদের মসুর ডাল খেলে ফুসফুসের ক্যানসার এবং সিওপিডির মতো গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।
•কুমড়ো
বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড রয়েছে যা প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে রক্তে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েডের মাত্রা এবং ফুসফুসের ভালো কার্যকারিতার মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে।
• গ্রিন টি
গ্রিন টি ফুসফুসের জন্যও উপকারী। গ্রিন টিতে রয়েছে EGCG(Epigallocatechin gallate) উপাদান, যার কারণে এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ফুসফুসের টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। যার কারণে আপনার ফুসফুস পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মতো গুরুতর সমস্যা থেকে দূরে থাকে।
• আপেল
অনেক গবেষণায় ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে আপেলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আপেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন-সি অ্যাজমা এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের কারণে যাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে, তারা আপেল খেয়ে তাদের ফুসফুসকে দিব্যি সুস্থ রাখতে পারেন।
• হলুদ
ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাসের পিছনে প্রায়শই প্রদাহকে দায়ী করা হয়। হলুদ ফুসফুসের জন্য একটি উপকারী খাদ্য উপাদান। এতে উপস্থিত কারকিউমিন এটিকে একটি প্রদাহরোধী খাবার করে তোলে। যারা বেশি কারকিউমিন খান, তাদের ফুসফুস বেশি সুস্থ থাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম