।। প্রথম কলকাতা ।।
চুলের সেই আগের সৌন্দর্যটা হারিয়ে গেছে? যত দিন যাচ্ছে চুল পরা যেমন বেড়েই চলেছে তেমনই চুলের সেই ঝলমলে ভাব চলে গিয়ে কেমন রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? এমন সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তবে আর চিন্তা করতে হবে না, শসার রসেই করবে কামাল। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন শসার রস! চুলের সৌন্দর্য ফেরাতে শসা যে কত উপকারী তা অনেকেই জানেন না। শসাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হবে সেই কায়দা টা জানলেই কেল্লা ফোতে!
শশা শুষ্ক ভাব এবং চুলকানি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। শশার রস দিয়ে একটি সাধারণ ম্যাসাজ মাথার ত্বকের হাইড্রেশন স্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে, চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করতে পারে এবং চুল পড়া কমাতে পারে। শশাতে উপস্থিত প্রচুর সালফার এবং পটাসিয়াম চুল পড়া রোধ করতে পারে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। শশার রস সিলিকন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার-সহ অনেক বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। প্রতিদিন শশার রস দিয়ে চুল ধুলে চুল মজবুত হয়। শশার মধ্যে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন ক্ষতিগ্রস্থ চুল মেরামত করতে সাহায্য করে। শশা খাওয়া আপনার ত্বককে হাইড্রেট করতে পারে এবং চুল পড়া রোধ করতে পারে।
এর রসে উপস্থিত ভিটামিন এ, সি এবং সিলিকা পাতলা চুল মেরামত ও মজবুত করে । এটি সাধারণত ডিম এবং অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে একটি কার্যকর হেয়ার প্যাক তৈরি করা হয় । এই মিশ্রণটি সরাসরি মাথার ত্বকে প্রয়োগ করা হয়, যা মাথার ত্বককে সুস্থ করে তোলে ।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রতিদিন নিয়ম করে সকালবেলা উঠে শসার রস,অল্প পাতি লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে ম্যাসাজ করুণ। দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হয়।
সপ্তাহে অন্তত একদিন টক দইয়ের সঙ্গে শসার রস ভালো করে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন।একদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন রেজাল্ট। যাদের চুল রুক্ষ শুষ্ক হয়ে গেছে তারা কিন্তু এই হেয়ার প্যাক টি একদিন লাগাতেই পারেন।দেখবেন আপনার চুল একেবারে নরম হয়ে গেছে।
একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে শশার রস, ডিম এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে সমানভাবে লাগান। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন ।এতেও দারুন ফল পাওয়া যায়।
শসার রসের সঙ্গে কারিপাতা খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্কাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে বেশ , কিছুক্ষন রেখে দিতে পারেন।তাহলে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হবে।
শশার রস, ডিম, অলিভ অয়েল নিন এবং এগুলি মিশিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করুন। এই কন্ডিশনারটি শুষ্ক চুলে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কমপক্ষে 30 মিনিটের জন্য এটি রেখে দিন। এর পরে এই মাস্কটি পরিষ্কার করতে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। চুলের বৃদ্ধির জন্য, সপ্তাহে একবার এটি প্রয়োগ করুন। এই ভাবে শশা দিয়ে যদি নিজের চুলের যত্ন নিতে পারেন তাহলে আপনার চুল হবে দেখার মতো। ফিরে পাবেন চুলের সেই আগের সৌন্দর্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম