।।প্রথম কলকাতা।।
Business Idea: আপনি নতুন কোনো ব্যবসা (business) শুরু করতে চাইছেন? তাহলে মাত্র চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে শুরু করতে পারেন একটি ব্যানার বা সাইনবোর্ডে লেখার ব্যবসা। আপনার এর জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হবে না। সারা বছরই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যানার বা সাইনবোর্ডের প্রয়োজন হয়। তাই সারা বছর কাজ মিলবে।
সারা বছর ব্যানার (banner) ও সাইনবোর্ডের চাহিদা থাকে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখলে এবং দোকানদারের সঙ্গে কথা বললে এ বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ব্যানারে সাধারণত কাপড় ব্যবহার করা হয়। সাইনবোর্ড (signboard) বা বিলবোর্ডে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম টিন স্টিল বা কাঠ। ব্যবসার জন্য লাগে হাতুড়ি স্কেল তুলি রং মেশানোর পাত্র প্রভৃতি স্থায়ী উপকরণ।
হাতুড়ি লাগবে একটি। দাম বড় জোর ৮০ থেকে ১০০ টাকা। দু তিনটি তুলির দাম ১০০ টাকা । রং মেশানো পাত্র দাম নিতে পারে ৫০ টাকা। একটা ব্যানারের জন্য দরকার হবে বেশ কিছু কাঁচামাল। রং কেনার পেছনে খরচ হবে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ১টি চক ৫ টাকা, ১টি পেনসিল ৫ থেকে ৮ টাকা। সাইনবোর্ডের জন্য বাড়তি উপকরণ হিসেবে কাপড়ের বদলে টিন বা ক্রেতার চাহিদামতো উপকরণ কিনতে হবে। বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও তৈজসপত্রের দোকানে এসব পাওয়া যাবে। সাইনবোর্ড-ব্যানারের ব্যবসার জন্য খুব বেশি পুঁজির দরকার হয় না। ৩০০ টাকার উপকরণ কিনলেই চলে। প্রতিটি ব্যানার তৈরিতে খরচ হবে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা।
কাপড়ের ওপর স্কেলের সাহায্যে চক (chalk) দিয়ে দাগ কাটুন। তাতে সব লেখা একই মাপের হয়। এরপর দাগের মধ্যে নির্দিষ্ট অক্ষরগুলো লিখুন। লেখাটা প্রথমে চক দিয়ে লিখে নেওয়া ভালো। ভুল হলে এতে সংশোধন করা যাবে। এবার লেখার ওপর রং-তুলি দিয়ে রং করুন। লেখা শেষ হলে রং শুকানোর জন্য ব্যানারটা কিছুক্ষণ বাতাসে রাখতে হবে।
সাইনবোর্ড লেখা অনেকটাই ব্যানারের মতোই। পার্থক্য সাইনবোর্ডে কাপড়ের পরিবর্তে টিন, স্টিল বা কাঠ ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় স্টিল বা টিন রঙিন করে নিয়ে তার ওপর লেখা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে মাপমতো টিন বা স্টিল নিয়ে সেটাকে ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী রঙিন করে নিতে হবে। রং করা শেষ হলে এটি ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম