।। প্রথম কলকাতা ।।
Lock down: বড় কিছু ঘটতে চলেছে ভারতে। গোপনে দুর্গের চেহারা নিচ্ছে দিল্লি? স্পেশাল কমান্ডো, ৫০ টি টিম, ৩০০ বুলেটপ্রুফ গাড়ি। দিল্লি জুড়ে অঘোষিত লকডাউন? কেন জি-২০ সামিটের জন্য অগ্রিম ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী?সেপ্টেম্বরের ৩ টে দিনে ধামাকা হবে। কী কী বন্ধ থাকবে?ভিভিআইপি মুভমেন্ট দিল্লির রাস্তায়, কারণটা জানেন?গ্র্যান্ড প্ল্যানিং। জি ২০ সামিট ২০২৩। হাই প্রোফাইল এই আন্তর্জাতিক বৈঠক নিয়ে কোনরকম রিস্ক নিতে চাইছে না মোদী সরকার। রাজধানী দিল্লিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার ডিশিসন। সেপ্টেম্বরের আগামী মাসের ৮,৯ ও ১০ তারিখ দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সব অফিস, দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, ক্লাব বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ জারি। স্কুল, অফিসে ছুটি ঘোষণা থেকে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ। যাকে বলে কার্যত অঘোষিত লকডাউন।
না এখানেই শেষ নয় জি-২০ বৈঠকের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। CRPF গার্ডের ৫০টি দলকে তৈরি রাখা হচ্ছে। ৩০০’র ও বেশি বুলেটপ্রুফ গাড়ি তৈরি রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় জানিয়ে রাখতে হচ্ছে, সিআরপিএফ-এর ভিআইপি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে যে এক হাজার জওয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা কেউ সাধারণ কর্মী নন। এর মধ্যে সেই সমস্ত জওয়ান রয়েছে যারা অতীতে ভিআইপি নিরাপত্তার অংশ ছিলেন। এরা সেই কমান্ডো যারা এসপিজি এবং এনএসজির মতো নিরাপত্তা ইউনিটের সঙ্গে এক সময়ে কাজ করেছেন। এই সমস্ত জওয়ানরা জওয়ানরা বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানদের ভিআইপি রুটের ‘কারকেডে’ হাঁটবেন। পাশাপাশি কিছু জায়গায় নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে সিআরপিএফের স্পেশ্যাল ৫০ টি টিমকে। কিছু কমান্ডো চালককেও ভিআইপিদের সঙ্গে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশকেও CRPF-এর ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লির IGI বিমানবন্দর এবং গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেস থেকে প্রগতি ময়দান G-20 সামিট পর্যন্ত অতিথিদের আনার জন্য দায়িত্বে থাকবেন প্রশিক্ষিতরা। তাঁদের বিমানবন্দর থেকে বের করে আনতে, মিটিং হলে পৌঁছাতে, তারপর নিরাপদে হোটেলে নিয়ে আসার জন্য কী প্রোটোকল গৃহীত হয়, এগুলিও গ্রেটার নয়ডার কেন্দ্রে চলমান প্রশিক্ষণের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণ চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১ দিনের জন্য একটি নিরাপত্তা মহড়া হবে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিদেশি অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। সাত এবং আট তারিখ ভি আই পি মুভমেন্টের জন্য দিল্লির রাস্তা খালি রাখতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই দিল্লি সরকারকে বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তার আগে বিভিন্ন ভিআইপিদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে এই ট্রেন্ড কমান্ডোদের। হোটেল বা মিটিং প্লেস ত্যাগ করার পর ভিআইপিদের কিভাবে escort করা হবে সেই প্রশিক্ষণ ও দেওয়া হয়েছে কমান্ডোদের।
দিল্লিতে ২৩টি হোটেল এবং ৯টি হোটেলে বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেসব জায়গায় বিদেশি অতিথিরা থাকবেন তার মধ্যে রয়েছে ওবেরয়, ইম্পেরিয়াল কনট প্লেস, সর্দার প্যাটেল মার্গের আইটিসি মৌর্য, তাজ মান সিং হোটেল, লীলা প্যালেস, তাজ প্যালেস, অশোকা হোটেল, ললিত, শাংরিলা, হায়াত রিজেন্সি, লে মেরিডিয়ান, দ্য লোধি, বিভান্তা। দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ কমিশনার মধুপ তিওয়ারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, অতি প্রয়োজনীয় সার্ভিস ছাড়া বাকি সমস্ত সেক্টরে এই ছুটি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। দোকানপাট তো বটেই বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত ব্যাঙ্ক। যে অঞ্চলে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন হচ্ছে সেখানে মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে। এর ফলে দিল্লিবাসী যে সমস্যার সম্মুখীন হবে, স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দিল্লিবাসীর কাছে আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম