।। প্রথম কলকাতা ।।
Lal Jomin in Kolkata: কলকাতার (Kolkata) বুকে মঞ্চায়িত হতে চলেছে ‘লাল জমিন’ (Lal Jomin)। এই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির ভালোবাসা এবং অবিচ্ছেদ্য আবেগ। ওপার বাংলায় অর্থাৎ বাংলাদেশে এই নাটক রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন মঞ্চে কয়েকশো বারের কাছে এই নাটকে অভিনয় করেছেন স্বনামধন্য অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। সোমবার (Monday) কলকাতায় বাংলাদেশ (Bangladesh) উপ-হাইকমিশনে মঞ্চায়িত হবে ‘লাল জমিন’।
বাংলাদেশের মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ- হাইকমিশনে আয়োজিত করা হয়েছে ‘ভাষা উৎসব’। এই উৎসবের প্রথম দিন অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ উপ- হাইকমিশনের প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে ‘লাল জমিন’ নাটক মঞ্চায়িত হতে চলেছে। ৭১ মিনিটের এই নাটকে অভিনয় করবেন বিখ্যাত অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্যে। ১৯৫২তে শুরু হওয়া ভাষা আন্দোলন চরমরূপ পেয়েছিল ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এসে। একদিকে ভাষা আন্দোলন, অপরদিকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, ওপার বাংলায় ভাষা আর সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয় ‘লাল জমিন’ নাটকে।
‘লাল জমিন’ নাটক দেখে কখনো দর্শকদের চোখ ভিজেছে, আবার কেউবা আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। এর আগেও বাংলাদেশের এই নাটকটি কোরিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন এবং ভারতে একাধিকবার মঞ্চায়িত হয়েছে। নাটকে রয়েছে এক কিশোরী মেয়ের গল্প। পাশাপাশি দেখতে পাবেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়াও প্রায় আরো কয়েকটি দশকের ঘটনা। নাটকটিতে মুক্তিযুদ্ধে ১৪বছর বয়সী কিশোরী মেয়ের ভূমিকা অনবদ্য। লক্ষ্যে পৌঁছাবার আগেই পুরুষ সহযোদ্ধারা শহিদ হতেই মেয়েটির উপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার। পুরো নাটক জুড়ে রয়েছে মেয়েদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন, কিশোরীর ত্যাগ এবং সবশেষে স্বাধীনতা অর্জনের দৃশ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেই ঘটনা আপনাকে বিচলিত করে তুলবে। মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ঘাতক দালালদের বৃত্তান্ত এবং একজন নারী মুক্তিযুদ্ধের উপলব্ধি রয়েছে এই নাটকে।
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল, পাশাপাশি জর্জরিত হয়েছিল দেশভাগের যন্ত্রণা আর উদ্বাস্তু সমস্যায়। ওদিকে পূর্ববঙ্গের মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয় উর্দু ভাষা। বাঙালিরা মাতৃভাষার সেই অবমাননা একদম মেনে নিতে পারেননি। বিশেষ করে ছাত্র সমাজ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে জাতীয় ভাষা করার দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। নিজেদের মাতৃভাষা নিজেদের অধিকার, সেই অধিকার যখন ছিনিয়ে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আন্দোলন একেবারেই যথাযথ। কিন্তু ছাত্রদের উপর চলে পুলিশের নির্বিচারে গুলি। বহু আন্দোলন, সংগ্রামের পথ পেরিয়ে বাঙালিরা বাংলা ভাষার মর্যাদা ফিরে পায়। ২১শে ফেব্রুয়ারির এই রক্তাক্ত এবং সংগ্রামের দিন কোনদিনও ভোলার নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম