।। প্রথম কলকাতা ।।
MA English Chaiwali: রাস্তার পাশে একটা ঠেলাগাড়িতে বিক্রি করছেন চা আর তার সঙ্গে সামান্য কিছু খাবার। এই দোকানের মালিকের একটাই স্বপ্ন। একদিন তিনি বড় টি ক্যাফের মালকিন হবেন। সেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে রোজ নিয়ম করে ঠেলাগাড়িতে চা বানান। শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনাকে একটু অবাক করে দেবে। তিনি চাইলেই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোটা বেতনে ঝাঁ চকচকে অফিসে বসে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু তার মনের ইচ্ছা, নিজে কিছু একটা করবেন। এর আগে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলে (British Council) চাকরিও করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ইনি হলেন বঙ্গতনয়া শর্মিষ্ঠা ঘোষ (Sharmistha Ghosh)। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের গোপীনাথ বাজারে (Gopinath Bazar) গেলে এনার দেখা মিলবে। ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর (Post Graduate in English) এই তরুণী রাস্তায় চায়ের ছোট্ট দোকান খুলেছেন।
শর্মিষ্ঠার এই চায়ের দোকানে আরো কয়েকজন মহিলা রয়েছেন। যারা তাকে সাহায্য করে। তার মধ্যে একজন শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও, যিনি একটি উড়ান সংস্থায় কাজ করেন। শর্মিষ্ঠা হাতে হাতে আনুষঙ্গিক নানান কাজে সাহায্য করেন তাদের গৃহ সহায়িকা। শর্মিষ্ঠা ঘোষকে দেখলে বোঝা যায়, স্বপ্নকে সফল করতে গেলে ইচ্ছাশক্তিটাই আসল।
ইংরেজিতে এমএ পাস করে তারপরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চাকরি। এখন সেই চাকরি ছেড়ে রাস্তায় চায়ের স্টল দিয়েছেন। লক্ষ্য একটাই, নিজে কিছু করবেন। শুধুমাত্র নিজের স্টার্ট আপের জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন এই সমাজে তার নিজের একটি ব্র্যান্ড হবে। শর্মিষ্ঠার বাস্তব গল্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খান্না। ইতিমধ্যেই তুমুল বেগে ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, শর্মিষ্ঠাকে দেখে তিনি কৌতুহল ধরে রাখতে পারেননি। শর্মিষ্ঠার অনুমতি নিয়েই তার ছবি তুলেছেন এবং কথা বলেছেন। শর্মিষ্ঠা মনে করেন কোন কাজই ছোট নয়। তিনি শুধুমাত্র চা বিক্রির জন্য মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য অনেকেই তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি চাকরি ছেড়ে ঠেলাগাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন রাস্তায়, শুধুমাত্র নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন বলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম