।।প্রথম কলকাতা।।
Smile: হাসার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। একাধিক গবেষণায় হাসি চর্চার সুফল পাওয়া গেছে । তবে হাসি কি সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। হাসি হচ্ছে এক প্রকার মুখমন্ডলীর বহিঃপ্রকাশ যা সচরাচর ভাবে মুখের নমনীয় পেশিকে দুপাশে প্রসারিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মানুষের হাসি আনন্দ, সুখ ,মজা পাওয়ার উপলক্ষে হিসেবে চল আছে। মুখমন্ডল ছাড়াও চোখের মধ্যে হাসির বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠতে পারে। বহুদিন থেকে অনেক মানুষ বলে আসছেন হাসি হলো শ্রেষ্ঠ ঔষধ। হাসির সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক কতটা? আমাদের মুখের হাসি কি সব সময় আমাদের মনে ভাব প্রকাশ করে?এই ধরনের প্রশ্ন উঠে আসে। আমাদের মনের যে আনন্দ আবেগটা আছে সেটার একটা তাৎক্ষণিক বহিঃপ্রকাশ হাসির মাধ্যমে হয়। সুতরাং যখন কাউকে হাসতে দেখি তখন বলা যায় সে ভালো আছে। আবার যখন মন খারাপ থাকে তখন আমরা কম হাসি সহজে আমাদের হাসি আসে না। এমন বিষন্নতা থাকলে বা কোন দুশ্চিন্তা থাকলে আমরা সহজে হাসতে পারি না। হাসির শারীরিক দিকও আছে। হাসলে আমাদের হৃদরন্ত্রের একপ্রকার ব্যায়াম হয়। সুতরাং যারা বেশি হাসেন তারা শারীরিক মানসিক দিক থেকে ভালো আছে ধরে নেওয়া যায়।
তবে আজকাল কটা মানুষ মন খুলে হাসে? আধুনিক জীবনে কর্পোরেট কালচারে আমরা যেন রোবট হয়ে গেছি। সবাই মেপে মেপে কথা বলেন এবং হাসেন মেপে মেপে। অনেকে মনে করেন যারা মন খুলে হাসেন তাদের নাকি কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। ফলে লোকের সঙ্গে দেখা হলে ঠোঁটে মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে সৌজন্য বিনিময়ে করেন। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে হাসি নানান ভাবে আমাদের শরীরের গঠনের সাহায্য করে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
আমরা যদি প্রাণ খুলে হাসি তাহলে কি কি উপকার পাবেন জানেন?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাসার সময় আমাদের শরীরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় এই হরমোন গুলো নানান ভাবে শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- ফুসফুস সুস্থ থাকে, যখনই আমরা হাসি তখনই ফুসফুস প্রসারিত হয় এবং আমাদের ফুসফুসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবেশ করে এতে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে।
- মন ভালো হয়ে যায়, আমরা যখনই প্রাণ খুলে হাসি তখনই আমাদের শরীরের সেরাটনিন এবং এনডোফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে নিমেষে আমাদের মন ভালো হতে শুরু করে।
- রক্তচাপ কমায়, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাসার সময় আমাদের সারা শরীরে রক্তের প্রভাব একদিকে যেমন বাড়ে তেমন রক্ত নালি গুলি প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে শিরা ধমনীর উপর চাপ কম পড়ে।
- শরীর শান্ত হয়, যখন আমরা প্রাণ খুলে হাসি তখন দেহে জমতে থাকা ক্লান্তি কষ্ট মানসিক অবসাদ এক মুহূর্তে কমে যায়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, প্রাণ খুলে হাসি আমাদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।এরফলে যারা যে কোনো কারণেমন খুলে হাসতে পারেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
- টি সেলের ক্ষমতা বাড়ে, এই বিশেষ ধরনের কোষটির শক্তি যত বাড়তে থাকে তত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর টি সেলের ক্ষমতা বাড়ানোর সবথেকে সহজ উপায় হল প্রাণ খুলে হাসা।
- ব্যথার উপশম, পিঠের ব্যথায় যদি কষ্ট পান তাহলে মন খুলে হাসুন। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একটানা ১০ মিনিট হাসলে বেশ কয়েক ঘন্টা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- ক্যালোরি কমায়, মনমরা হয়ে থাকলে বা হাসি বন্ধ হলেই ঘিরে ধরবে অবসান আর তার সঙ্গে ক্যালরি ঝরে যাওয়া বন্ধ হবে। ১০-১৫ মিনিট হাসলে ক্যালোরি কমতে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত হাসি মৃত্যু ডেকেও আনতে পারে। বেশি হাসির ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। শ্বাস কষ্টের সমস্যা তৈরি হয়। হার্নিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বমিও হতে পারে। খাওয়ার সময় হাসলে গলায় খাবার আটকে যেতে পারে। ভারি খাওয়া-দাওয়ার পর জোরে হাসলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। জোরে হাসলে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হতে পারে।
। যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম