।। প্রথম কলকাতা ।।
এক কেজি লঙ্কার দামই ৩০ লক্ষ টাকা। লম্বা সরু নয়! গোল গোল বলের মতো এক কামড়ে বুঝতে পারবেন আসল মজা। ঝাল প্রায় নেই বললেই চলে! তাহলে ঠিক কোন কারণে বিশ্বে এই লঙ্কার এতো কদর? সাইজে ছোট হলে কী হবে! দম আছে কিন্তু ভুলেও কাঁচা খেতে যাবেন না। বন জঙ্গলেই জন্ম! দেশ বিদেশে খ্যাতি। দ্য মাদার অফ অল চিলিস আপনি কীভাবে পাবেন? মন খারাপ হলে এই লঙ্কা খেলেই হবে দিল খুশ! কীভাবে? কোটিপতির গল্প শুনেছেন কিন্তু লঙ্কা ব্যবসা করে কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়? তার রহস্য বলবো আপনাদের। দেখতে অনেকটা কড়াইশুটির মতো। বা ওই কিসমিস।কিন্তু দেখতে ছোট বলে তোয়াক্কা না করলেই বিপদ। পেরুর উত্তরের বনেই বিশেষ করে পাওয়া যায়। সেখান থেকে দেশ বিদেশে এর এতো খ্যাতি। কিন্তু ভুলেও কাঁচা খেতে যাবেন না!
কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হ্লুদ হয়। ১ কেজির দাম প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মতো। কম হবে না! বরং উল্টে দাম আরও বাড়তেই থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কাঁচালঙ্কা চারাপিটা। এতো দাম আসলে এর গন্ধের জন্য। কাঁচা লঙ্কাকে শুকিয়ে বিদেশের মার্কেটে ছেড়ে দিলেই যেন সোনা। শোনা যায় আরবের রাজা-বাদশাহরা তাঁদের খাবারে এই লঙ্কা ব্যবহার করতেন। খুব কম পাওয়া যায়। সাধারণত বেলে মাটিতে হয় দেখতে ছোট! ঝালও তেমন নেই। তবে এর আরেকটি গুণ রয়েছে যার জন্যই এটি বিশ্ববিখ্যাত এই লঙ্কার আশপাশে গেলেই এক সুগন্ধ আপনার পিছু পিছু ঘুরবে। আর এই গন্ধের টানেই দেশ বিদেশের বিখ্যাত রাঁধুনীরা লঙ্কাটি ব্যবহার করে থাকেন। প্রধানত মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সাথে। বড় বড় নামিদামি রেস্টুরেন্টে নানা রান্নার ডেকোরেশন এর কাজেও ব্যবহার করা হয়।
শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যের উপর বেশ উপকারী!ঔষুধী গুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে মুড-বুস্টার হিসাবেও পরিচিত। এই লঙ্কা খাওয়ার পর বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশেও ইদানিং এর চাষ করা হচ্ছে। অনেকেই চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। তবে যারা সফল হয়েছেন তারা বেশিরভাগই আমেরিকা থেকে বীজ নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশে এই লঙ্কা চাষের উপযুক্ত জলবায়ু আছে কিনা তা যদিও এখনও প্রমাণিত হয়নি।শৌখিন চাষিদের বাগানে এর দেখা মেলে। এর বাজার দর সেরকমভাবে বাংলাদেশে নেই, তাই ভাবনাচিন্তা চলছে এখনও। আপনিও চাইলে বাড়ি বসে অনলাইনে এই লঙ্কা কিনে চেখে দেখে নিতেই পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম