।। প্রথম কলকাতা ।।
দীর্ঘ ১০ বছর পর অনুরাগীদের নতুন গান উপহার দিল “লক্ষ্মীছাড়া”। প্রকাশিত হল ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম “এক দশক পর”। ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট রাজীব মিত্র। তবে আরেকটা পরিচয় রয়েছে তাঁর। একটি কোম্পানিতে উঁচু পদে চাকরিও করেন। একদিকে গান আবার অফিস! কীভাবে ব্যালেন্স সম্ভব? সেই উত্তর প্রথম কলকাতাকে জানালেন ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট রাজীব মিত্র।
লক্ষ্মীছাড়া ব্যান্ডের গান রিলিজ হল ইউটিউবে। চারটি গান রয়েছে এই অ্যালবামটিতে৷ চারটে গান শুনতে সময় লাগবে প্রায় কুড়ি মিনিট ৷ গানের নাম হল, ‘ঘেঁটে যাচ্ছে সব’, ‘এখানে বিজ্ঞাপন মারিবেন না’, ‘পদবী’ ও ‘উপহার ‘। তবে ইউটিউবেই কেন? এই প্রশ্ন আপনার মনে আসছে তো? এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ক্যাসেট- সিডি হারিয়ে যেতে বসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষের সময় নেই। সিডি কিনে গান শোনার সময় নেই কারোর। তাই সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হচ্ছে সকলকেই। তাই এবার গানের রিলিজ ইউটিউবেই করেছে লক্ষ্মীছাড়া। প্রথম কলকাতাকে জানালেন রাজীব।
একটি বড় আইটি সংস্থায় চাকরি করেন রাজীব। একদিকে গান আবার অফিসে কাজের চাপ। দুই দিক সামলানো তো বড্ড মুশকিল! মনে হয় অনেকেরই । কিন্তু রাজীব একদম মানেন না একথা। অফিসে উঁচু পদে চাকরি করেও নিয়মিত রিহার্সাল করেন রাজীব। গানকে ভালোবাসলে সব করা যায়। কখনো সকালে রিহার্সাল করে অফিসে যান। আবার কখনও রাতে সাড়ে ৯ টা থেকে বারোটা বেজে যায়। কাজের পাশাপাশি নিজের ভালোবাসাকে আঁকড়ে রয়েছেন লক্ষ্মীছাড়ার প্রধান কণ্ঠশিল্পী। তবে অফিস থেকে ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্য সকলেই তাঁকে উৎসাহ দেন খুব। নিজের জুনিয়রদেরও সমানভাবে উৎসাহিত করেন। তাই জন্য এতদূর পথ চলা সম্ভব হয়েছে, বলেন রাজীব মিত্র।
কিন্তু শুধু গান করে কি সংসার চালানো যায় না?আসলে রাজীব কখনই গানকে পেশা হিসেবে ভাবেননি। শুরুটা গান গেয়ে আর্থিক সমস্যা হচ্ছিল রাজীবের। তাই পাশাপাশি চাকরির সিদ্ধান্ত নেন। তবে বর্তমানে অনেক গায়ক গায়িকাই গান গেয়ে ভালো উপার্জন করছেন। বিলাসবহুল জীবন- যাপন করছেন। গানকে পেশা হিসেবে ভাবলেই জীবন সুন্দরভাবে যে কাটানো সম্ভব, মনে করেন রাজীব।
“জীবন চাইছে আরো বেশি”, “ব্যালেরিনা”,” নিরুদ্দেশে”র মত গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছে এই বাংলা ব্যান্ড। ১০ বছর পর যেন নতুনভাবে ফিরে আসা লক্ষ্মীছাড়ার। তাঁদের নতুন গান শুনতে হলে লক্ষ্মীছাড়ার ইউটিউব চ্যানেলে আপনাকে ঢুঁ মারতেই হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম