।। প্রথম কলকাতা ।।
South 24 Pargana: স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে হিসেবের বাইরের টাকা। কোথা থেকে এই টাকা আসছে? তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ছাত্রের পরিবার। অবশেষে খোঁজখবর নিতে জানা যায় ওই টাকা আসলে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রকল্পের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের অচিন্ত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্কুল ছাত্রের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা কীভাবে আসবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে ওই ছাত্রের পরিবার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় প্রমিলা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হল প্রভাত দাস। সে তপশিলি জাতিভুক্ত হওয়ার কারণে কয়েক দফা বৃত্তির (Scholarship) টাকা পায়। সেই টাকা জমে ২ হাজার মতো হয়। অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে তাদেরকে জানানো হয় অ্যাকাউন্টের মোট ১০ হাজার টাকা জমা পড়েছে। ২০০০ টাকা ওই ছাত্রের স্কুলের (School Student) তরফ থেকে আসলেও বাকি ৮ হাজার টাকা লক্ষ্মী ভান্ডারের, এমনটাই জানানো হয়েছে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌরী দুয়ারী বাকি ৮ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে তেমনটা না করার কারণে ওই ছাত্রের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বৃত্তির টাকাও তুলতে পারেনি তাঁরা। অচিন্ত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌরী দুয়ারী নিজেই বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ কেন্দ্রের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এফবিসি সদস্য এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। যদিও তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না তোলার বিষয় সম্পর্কে অন্যান্য গ্রাহকদের সামনে ব্যাঙ্কেই কথা বলবেন তিনি। পঞ্চায়েত অফিসে এই নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে চাননি উপপ্রধান। এমতাবস্থায় ওই ছাত্রের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। কাজেই তাঁরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন এই বিষয়ে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম