হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima) হল একটি বড় উৎসব। কথিত আছে এইদিনই মহাকবি ব্যাসদেব জন্মেছিলেন। সেই কারণে অনেকেই এই দিনটিকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলে থাকেন। এবছর গুরু পূর্ণিমা পালন হবে ২১ জুলাই। এই সময়টায় রয়েছে বেশকিছু শুভ যোগ। এইদিন রাহু, কেতু, শনির অবস্থানের জেরে তৈরি হবে শশ রাজযোগ। বুধ, সিংহে আর চন্দ্র থাকবে মকরে। দুইয়ে মিলিয়ে তৈরি হবে কুবের রাজযোগ। এছাড়াও এইদিন তৈরি হবে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ। যার ফলে লাভবান হবে বহু রাশির জাতক জাতিকারা। তার মধ্যে এই তিন রাশির তো সোনায় সোহাগা।
বৃষ
জ্যোতিষ মতে, এই গুরু পূর্ণিমা বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য অত্যন্ত শুভ। মা বাবার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্যেও সময়টা ভালো যাবে। নতুন চাকরির সুযোগ রয়েছে এই সময়। নতুন গাড়ি বা বাড়ি কেনারও যোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা।
সিংহ
সিংহ রাশির জাতকদের জন্য গুরু পূর্ণিমা শুভ। যারা অর্থ বিনিয়োগ করে রেখেছেন তারা ভালো রিটার্ন পাবেন। স্বামী, স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্যেও সময়টা অত্যন্ত শুভ। পার্টনারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারবেন। পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে। সমাজে মান-সম্মান বাড়বে। কেরিয়ারে প্রচুর লাভ অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা
কুম্ভ
শাস্ত্র মতে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্যেও সময়টি সোনায় সোহাগা। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটবে। চাকরি, পড়াশোনা সব দিক দিয়েই সাফল্য পাবেন কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা। যারা ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের জন্য সুখবর। এই গুরু পূর্ণিমায় ব্যবসায় সাফল্য যোগ দেখছেন জ্যোতিষীরা।
শাস্ত্র মতে গুরু পূর্ণিমার দিনে বিশেষ আচার মেনে গুরু ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। এতে পূণ্য ও মোক্ষলাভ হয়। এই তিথিতে বাড়ির প্রধান দরজায় মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন অবশ্যই আঁকবেন৷ এতে অর্থভাগ্য ভালো হয়। এছাড়াও এইদিন ফল, ফুল, সিঁদুর, হলুদ ইত্যাদি পূজার উপকরণ দিয়ে ব্যাসদেবকে পুজো করতে পারেন। গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে গরিব দুঃখিদের দান করার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এইদিন হলুদ শস্য, হলুদ জামাকাপড় ও হলুদ রঙের মিষ্টি দান করা অত্যন্ত শুভ মানা হয়। গুরুজনেরা বলেন, সত্যনারায়ণের পুজো করাও খুব শুভ এই তিথিতে৷ তাতে বাড়ির উপর থেকে কুনজরের প্রভাব কেটে যায়৷ আপনি কি করছেন গুরু পূর্ণিমার পুজো? কোন নিয়মে পুজো করছেন? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে।