।। প্রথম কলকাতা ।।
Kiribati New Year : নতুন বছরকে (New Year) স্বাগত জানাতে কোন রকম কমতি রাখেনি বিশ্ববাসী। কিন্তু তারপরেও করোনার ভয় ফের একটা অনিশ্চয়তার মেঘ সৃষ্টি করেছে। ২০২০ এবং ২০২১ সাল যেভাবে অতিবাহিত করা হয়েছে তারপর ২০২২ আশার আলো দেখিয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতিও হয় অনেক । কিন্তু ২০২২ এর একেবারে শেষ লগ্নে এসে ফের করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডব দেখতে পাওয়া যায়, যা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিন্তু তার মধ্যেও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দ ফিকে হয়ে যেতে দেওয়া যায় না।
অল্পস্বল্প নিয়মবিধির মধ্যেই সকলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু সমগ্র বিশ্বের কোন দেশটি সর্বপ্রথম ২০২৩ কে বরণ করে নিয়েছে জানেন ? শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও এটা কিন্তু সত্যি। আমরা যে সময় বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছি তার বেশ কিছুটা আগে বিশ্বের এক দেশ নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ফেলেছে। কারণ তাঁরা এগিয়ে রয়েছে অন্যান্যদের থেকে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। এটি হল ঝিনুকে ঘেরা একরত্তি একটি দেশ কিরিবাটি (Kiribati), যা মাত্র ৩৮৮ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। এই দেশেই সর্বপ্রথম নতুন বছরের ক্যালেন্ডার বদলানো হয়। এরাই গোটা বিশ্ববাসীকে সর্বপ্রথম হ্যাপি নিউ ইয়ার (Happy New Year) উইশ করার সুযোগ পান।
এমন হয় কীভাবে ?
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ কিরিবাটি, সামোয়া এরা নববর্ষকে সর্বপ্রথম স্বাগত জানানোর সুযোগ পান আর তার মধ্যে সবার আগে এই সুযোগ আসে কিরিবাটি দ্বীপের অন্যতম একটি শহর কিরিটিমাটির (Kiritimati) বসবাসকারীদের কাছে। এর পেছনে একটা বিশেষ কারণ রয়েছে। আর সেই কারণটি আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার (International Date Time) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিরিবাটি দ্বীপ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সবথেকে কাছের অবস্থিত। ১৯৯০ সালের আগে এই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কিরিবাটির একেবারে ওপর দিয়ে গিয়েছিল । যার কারণে কিরিবাটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায় এবং সেই দুটি অংশের দুই রকম তারিখ দেখতে পাওয়া যেত।
এই সমস্যা থেকে কিরিবাটিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাটি ওই দ্বীপের একেবারে পূর্বতম দিকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন সম্পূর্ণ কিরিবাটিতে একটাই তারিখ। ভৌগোলিক কারণেই তাই কিরিবাটির পাশাপাশি সামোয়া সর্বপ্রথম ইংরেজির নববর্ষ উদযাপন করতে পারে। কারণ লণ্ডনের গ্রিনিচ মিন টাইম (GMT) থেকে ভৌগোলিক কারণেই এই কিরিবাটি দ্বীপের কিরিটিমাটি শহর ১৪ ঘণ্টা এগিয়ে রয়েছে। পৃথিবী যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে নিজের অক্ষের উপর সে কারণে পূর্ব দিকের দেশগুলিতে সবার আগে সূর্য উদয় হয়। তাই সেই সমস্ত দেশ গুলি নববর্ষকেও স্বাগত জানায় সবার আগে।
লণ্ডনের গ্রিনিচ মিন টাইম অনুযায়ী এদের পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ড। এরপর যদিও ভারত ,আয়ারল্যান্ড, ঘানা, আইসল্যান্ড সহ আরও অন্যান্য দেশগুলি একই সময়ে নববর্ষকে স্বাগত জানায়। কিন্তু ২০২৩ কে সবার শেষে স্বাগত জানাবে প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি মার্কিন দ্বীপপুঞ্জ বেকার দ্বীপ ও হাওল্যান্ড দ্বীপ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম