।। প্রথম কলকাতা ।।
সামান্য শরীর খারাপ হলেই টপাটপ ওষুধ খান অনেকেই।দু একদিনে সমস্যা না মিটলে শুরু করে দেন অ্যান্টিবায়োটিকও। তাতে সাময়িক সুবিধা মিললেও দীর্ঘকালীন মেয়াদে শরীরের খুব ক্ষতি হয়। তার চেয়ে ছোটখাটো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতের কাছে রাখতে পারেন কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ। জ্বর, ব্যথা, কাটা, ছেঁড়ায় এগুলি বিশেষ কার্যকরী। কোন পাঁচটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? কোন সমস্যায় খাবেন কোনটি? চলুন দেখে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে। অ্যালোপ্যাথির যতো হোমিওপ্যাথি এক পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি। আয়ুর্বেদের সঙ্গেও এই চিকিৎসা পদ্ধতির বেশ কিছু মিল রয়েছে। হোমিওপ্যাথি ওষুধ অনেকেই খান। সাধারণ জ্বর বা ব্যথায় হোমিওপ্যাথির অনেকগুলি ওষুধই কাজে লাগে। সেই কারণেই বাড়িতে কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ রেখে দিতে পারেন। নিজের ও পরিবারের অন্যান্যদের প্রয়োজনে সেগুলি দিতে পারেন।তাতে বেশ কিছু সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে পাঁচটি ওষুধের কথা বলছি। এই ওষুধগুলি বাড়িতে হাতের কাছে রেখে দিন। প্রয়োজনে সহজেই এগুলি খেতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক সেই ওষুধগুলি কী কী।
Arnica-30 বা 200।
ছোটখাটো আঘাত লাগা, কেটে যাওয়ায় এই ওষুধটি খুবই কাজে লাগে। তাছাড়া সারা দিন প্রচুর পরিশ্রমের পরে যদি গায়ে-হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তাহলেও এই ওষুধটি সেই সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে।
Calendula Q বা Mother Tincture।
ছোটখাটো কেটে যাওয়া বা রক্তপাতের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। ভেজা তুলোয় এই ওষুধ লাগিয়ে কাটা জায়গায় লাগালে রক্তপাত বন্ধ হয়। ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
Nux Vomica-30 বা 200।
পেটের গণ্ডগোলের মতো সমস্যা কমাতে এই ওষুধ দারুণ কাজ করে। রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ওষুধ য়েক ফোঁটা খেতে পারেন। কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যা কমবে।তবে কেমন মাত্রায় খাবেন, সেটি চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া দরকার।
Aconite-30
হঠাৎ হাঁচি শুরু হয়েছে? বা হঠাৎ করে গা গরম, জ্বর এসেছে? তাহলে এই ওষুধটি খেতে পারেন। সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর কমাতে দারুণ কাজে লাগে এই ওষুধটি।
Kalifoss-3X বা 6X
এটি আসলে ওষুধ নয়, নার্ভের পুষ্টি জোগানোর একটি উপাদানও বলা যায় একে। যাঁদের মস্তিষ্কের পরিশ্রম বেশি হয়, তাঁরা এটি খেতে পারেন ।এতে যেমন ঘুম ভালো হয়, তেমনই সব ধরনের স্নায়ুর উন্নতি হয় এই ওষুধটির কারণে।
এই পাঁচটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ যে কেউ বাড়িতে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে খেতে পারেন। তবে সব কিছুর আগে কোনও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো হয়। তিনি বলে দিতে পারবেন কার কোন মাত্রার ওষুধ দরকার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম