।। প্রথম কলকাতা ।।
Mobile Phone: রোজ রাতে মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমোচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার এমন কি। এ তো রোজকার রুটিন। কিন্তু আপনার সামান্য ভুলেই শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে। মোবাইলের কারণেই কমে যাচ্ছে আয়ু। একটু অসতর্কতার জন্য বড় মাশুল দিতে হবে। নিজের জীবনকে ফেলে দিচ্ছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে। আপনার প্রতিদিনের সামান্য একটা অভ্যাস ঠিক কতটা ক্ষতিকর হতে পারে জানলে শিউরে উঠবেন। মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমানোর আগে দুবার ভাবুন। শুধু আপনি নয়, চরম বিপদে পড়বে আপনার গোটা পরিবার। শিশুরাও বাদ যাবে না।
শেষ বার কখন ফোনটা সুইচ অফ করেছিলেন? মনে আছে? কাজ থাকুক আর নাই থাকুক ফোনের স্ক্রিনে খুট খাট চলতেই থাকে মোবাইলের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে। এই নেশা মাদকের থেকেও মারাত্মক। কিন্তু এই মোবাইল থেকে ধীরে ধীরে কীভাবে গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানসারের প্রকোপ?জানেন? ফোনের রেডিয়েশন যে কতটা ভয়াবহ তা আপনার আন্দাজেরও বাইরে। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ফোন থেকে উৎপন্ন রেডিয়েশন মানুষের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। যার কারণে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের রোগ, হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে আপনি যদি এখনই সাবধান না হন তাহলে শিয়রে চরম বিপদ।
আপনি কি জানেন? ফোন থেকে নির্গত আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে নষ্ট করে দেয় সেকারণেই বেশিক্ষণ ফোনে চোখ রাখলে ঘুম আসতে দেরি হয়। ফোনের রেডিয়েশন কোষের বিকাশে বাধা তৈরি করে। যার কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ফোনের থেকে যে রশ্মি নির্গত হয় সেখান থেকে হতে পারে গ্লিওমা। এক ধরণের মস্তিষ্কের ক্যানসার। এই সংবাদমাধ্যমে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুরুষরা যদি শরীরের কাছাকাছি দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন রাখেন তাহলে স্পার্ম কাউন্ট অত্যাধিক পরিমাণে কমে যায়। বহু ফোনে ব্যবহার করা হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি যেখান থেকে প্রায় একশটি ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। তালিকায় রয়েছে কার্বন মনোক্সাইডের মত বিষাক্ত গ্যাস
এই গ্যাস মানুষের শরীরে অতিমাত্রায় প্রবেশ করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে বাঁচতে কি করবেন?
মেনে চলুন সামান্য কয়েকটা নিয়ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেখানে ফোনের টাওয়ার দুর্বল বা কম থাকবে সেখানে কল রিসিভ করবেন না। আসলে এই সময় রেডিও ওয়েভের মাত্রা আরও বেশি থাকে। যার খারাপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা না বলার চেষ্টা করুন। দরকার পড়লে মাঝে মাঝে ব্রেক দিন। ফোন প্যান্টের পকেটে কিংবা বুক পকেটে রাখবেন না। ভুলেও সারারাত ফোনে চার্জ দেবেন না। মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়ার অভ্যাস একটু বন্ধ করুন। মোবাইলের অ্যালার্ম সেট করার পর যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটি বন্ধ হয় সেখান থেকে রেডিও ট্রান্সমিশন হতে থাকে। যা বেশ ক্ষতিকর।
ঘুমানোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে ফোন দেখা বন্ধ করুন। ফোনটা বেডরুমের বাইরে অন্য ঘরের টেবিলে রেখে আসুন। যে মোবাইল কিংবা ট্যাবলেট চার্জিং এর সময় গরম হয়ে যায় সেগুলি বেশি ক্ষতিকর। এছাড়াও এগুলো থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে থাকে। রাতে ফোন না ঘাঁটলে ঘুম আসে না, এই বদ অভ্যাস যদি অলরেডি করে ফেলেন তাহলে সাবধান। কারণ আপনার প্রাণের থেকে মোবাইল ফোন ঘাটা বড় হতে পারে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম