।। প্রথম কলকাতা ।।
Adrit-Kaushambi: কোন গহনায় সেজেছিলেন কৌশাম্বি? কেমন সাজ ছিল আদৃতের? বিয়ের মত রিসেপশনেও ছিল বিশেষ চমক। মেনুতে কী কী ছিল? কী কী পড়ল অতিথিদের পাতে? গ্র্যান্ড রিসেপশনের জন্য কত টাকা খরচ করলেন আদৃত? জানাব সবটাই।
গত বৃহস্পতিবারই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দিদিয়া আর উচ্ছেবাবু। সারা জীবন একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার করেছেন তারকা যুগল। আর তারপর থেকেই টক অফ দ্য টাউন ‘আদৃত-কৌশাম্বি’র জুটি। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিয়ে সবেতেই ছিল সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। আর এবার তো রিসেপশনেও দিলেন বেশ চমক। ঠিক কেমন সেজেছিলেন এদিন? মেনুতেই বা কী কী ছিল এইদিন?
দক্ষিণ কলকাতার একটি নামি ক্লাবে বসেছিল আদৃত-কৌশাম্বির রিসেপশনের আসর। সন্ধ্যা সাতটা থেকেই ভিড় জমাতে থাকে অতিথিরা। কখন আসবে বর-বৌ? সকলের নজর ছিল সেদিকেই। নাহ্, খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি অতিথিদের। সময় মতই আদৃতের হাতে হাত রেখে ভেন্যুতে প্রবেশ করলেন স্বামী সোহাগী কৌশাম্বি। চোখ মুখ দিয়ে লাবণ্য ঝরে পড়ছে যেন। অনুরাগীরা তো চোখ সরাতেই পারছেনা।
শাঁখা সিঁদুরে রূপ যেন আরও খোলতাই হয়েছে। আইভরি লেহেঙ্গায় নতুন বৌকে চেনাই দায় যে। নেটিজেনরা কৌশাম্বির এই লুকে পুরো ক্লিন বোল্ড। এই গরমেও নিজের লুক নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নন তিনি। ফুল স্লিভ ব্লাউজে বেশ স্টানিং দেখাচ্ছিল তাকে। চুল কার্ল করে খুলেই রেখেছিলেন। চুলে লাগানো ছিল সাদা ফুল।
পোশাকের পাশাপাশি এইদিন নেটিজেনদের নজর কাড়ল কৌশাম্বির গয়নাও। বিয়ের মত রিসেপশনের ক্ষেত্রেও সিম্পল সাজকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। গলায় ছিল সরু একটা হার। কানে ছিল ছোট্ট দুল। নেটিজেনরা বলছেন, সেই সব গহনাই নাকি হিরের। যদিও তা সত্যিই হিরে কি না তা জানা যায়নি। হাতে শাঁখা পলার পাশাপাশি পরেছিলেন ঘড়ি। ব্যাস তাতেই লুক কম্প্লিট।
আদৃতের পরনে কী ছিল?
বৌয়ের পোশাকের সাথে ম্যাচ করেই আদৃত বেছে নিয়েছিলেন আইভরি রঙের শেরওয়ানি। সেই সাথে ছিল এক মুখ হাসি। পছন্দের নারীকে পাশে পেয়ে তার জৌলুস যেন আরও বেড়েছে। মনের মধ্যে যে লাড্ডু ফুটছে সেটা তো মুখ দেখেই স্পষ্ট। গ্র্যান্ড রিসেপশনে থ্রী টিয়ার কেকও কাটা হল এইদিন। একগাল হাসি নিয়ে লেন্সবন্দি হলেন নবদম্পতি।
বলুন তো কাকে বেশি সুন্দর লাগছিল? আদৃত নাকি কৌশাম্বি, কার রিসেপশন লুক নজর কাড়ল আপনাদের? বিয়ে নাকি রিসেপশন, কৌশাম্বির কোন সাজকে এগিয়ে রাখবেন আপনারা? কমেন্ট করে জানান আমাদের।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড লাগায়ো প্রিন্সটন ক্লাবে বসেছিল আদৃত-কৌশাম্বির রিসেপশন। শোনা যাচ্ছে এই এই ক্লাবের ব্যাঙ্কোয়েট বুক করতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে কমবেশি ১ লক্ষ টাকা। এটাই নাকি এখানকার বেসিক প্যাকেজ। প্লেট প্রতি খাবারের দাম শুরু হয় ১৬৫০ টাকা থেকে। তবে আপনি মেনুতে কী রাখছেন তার উপর কমাবাড়া হবে প্লেটের দাম। অর্থাৎ সবে মিলিয়ে লাখ খানেকের ধাক্কা।
শোনা যাচ্ছে, অতিথি আপ্যায়নের সাথে কোনোরকম আপোষ করেননি আদৃত। বউভাতের ছিল দেশি-বিদেশি খাবার! ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্টলের মেনু দেখেই জিভে জল আসবে। বুফেতে ছিল রকমারি জিভে জল আনা পদ। শোনা যাচ্ছে জিভে জল আনা স্টার্টারের পাশাপাশি মেন কোর্সে মেথি পনির থেকে শুরু করে বেনারসি আলুর দম, মটর কচুরি, বাসন্তি পোলাও, চিকেন বিরিয়ানি, মাটন কষা, কী ছিলনা এইদিন। সেই সাথে শেষ পাতে পড়ল টম্যাটোর চাটনি, পাপড়, রসমালাই ইত্যাদি। সবে মিলিয়ে আদৃত কৌশাম্বির বউভাত একেবারে জমজমাট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম