।। প্রথম কলকাতা ।।
Kaushambi Chakraborty: মা কে হারিয়ে দিশেহারা কৌশাম্বী। জটিল রোগে আক্রান্ত বাবাও। ভেঙে পড়েছেন নায়িকা ফুলকি থেকে নিচ্ছেন বিরতি। পারোমিতাকে এখন দেখা যাবেনা ফুলকিতে। মা চলে যাওয়ার পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন পর্দার পারো। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? মাকে হারিয়ে কোন আফসোস কুরে কুরে খাচ্ছে কৌশাম্বিকে?সবটাই জানালেন অভিনেত্রী।
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে কৌশাম্বীর। বিয়ের দেড় মাস কাটতে না কাটতেই মাকে হারিয়ে ফেলেছেন যে। সংসার পাতার কয়েকদিনের মধ্যেই যে সব এমন ছারখার হয়ে যাবে তা দুঃস্বপ্নেও আশা করেননি অভিনেত্রী। তাই তো ডুকরে কেঁদে উঠে লিখেছিলেন, ‘এবার আমি কী করব মা’? তাই তো! যে মা ছিলেন তার জীবনের শক্তি, তিনিই আজ নেই। তাহলে এখন কীভাবে সামলাবেন সবকিছু? অসুস্থ বাবাকে এবার দেখবে কে? বাবার শরীরটাও যে একেবারেই ভালো নেই। ঘটনার ঘনঘটায় একপ্রকার দিশেহারা নায়িকা। আর এবার সেটা নিয়েই মুখ খুললেন পারো।
গত বৃহস্পতিবারই ঘটেছে এই অঘটন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেই জানিয়েছেন সবটা। ভেঙে পড়েছেন একেবারেই। তবে থমকে তিনি থাকেননি। প্রকাশ্যে এসে জানালেন, ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন।
জেনে অবাক হবেন যে, এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগেও মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গেছিলেন কৌশাম্বীর মা। বেয়াই বেয়ানের সাথে বিস্তর আড্ডাও দিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে বোনের সাথে ফোনে গল্পও করেছেন। তবে কে জানতো, এটাই তার শেষ গল্প। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সব শেষ। চিকিৎসকরা সুযোগটুকুও তিনি দেননি। আর সেটাই মেনে নিতে পারছেন না কৌশাম্বী। তার মনে হচ্ছে, মায়ের যেন আরও একটু যত্নের প্রয়োজন ছিল। সবার খেয়াল রাখতে গিয়ে খামতি থেকে গেছিল নিজের বেলাতেই। না হলে এত তাড়াতাড়ি বোধহয় তিনি ফুরিয়ে যেতেন না।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বাবার শরীরে আগেই মারণরোগ থাবা বসিয়েছে। বাবার ওষুধ, ট্রিটমেন্ট, কেমো সবটাই সামলাতেন তার মা। এককথায় দশভূজা ছিলেন তিনি। একদিকে চাকরি, অন্যদিকে সংসার, সবটা সমানভাবে সামলে গেছেন তিনি। সদ্যই অবসর নিয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল এবার নিজে বাঁচবেন। চুলে রঙ করবেন, টিউশন পড়াবেন। ছোটদের আবৃত্তি শেখাবেন। আরও কত শত প্ল্যানিং। কিন্তু তা আর হল কই? এক লহমায় শেষ হয়ে গেল সবটা।
শোনা যাচ্ছে, নিয়ম মেনে রবিবারই মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ করবেন তিনি। আপাতত শুটিং থেকে নিয়েছেন বিরতি। এখন বেশ কিছুদিন ফুলকিতে দেখা যাবে না পারোমিতাকে। এই বিষয়ে সহযোগিতা করেছে চ্যানেলও। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ। এই কঠিন সময়ে ছায়ার মত কৌশাম্বির পাশে রয়েছেন আদৃত। আমাদের প্রার্থনা, কৌশাম্বীর মা যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। ঈশ্বর ঝড়ঝাপটা কাটানোর শক্তি দিক কৌশাম্বীকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম