।। প্রথম কলকাতা ।।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাঝে বিশ্বকে চমকে দিলেন ইনি। একজন সাংবাদিক জীবনের সবথেকে কঠিন পরিস্থিতিতে শিখিয়ে দিলেন এক চরম শিক্ষা। ইজরায়েলের হামলায় শেষ হয়ে গেল গোটা পরিবারটায় স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, নাতি কেউ বেঁচে নেই আর চিতকার করে ডাকলেও আর কেউ ফিরে আসবে না। গাজার সাংবাদিক ওয়ায়েল আল দাহদৌয়ে এই পরিস্থিতি যা করে ফেললেন তা শুনলে অবাক হতে হয় গাজার সুরক্ষিত জায়গাতে পরিবারকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। আল জাজিজার গাজা ব্যুরোর চিফ আল-দাহদৌয়ে যুদ্ধের খবর করাই তার কাজ, কিন্তু সেই খবরেই সামিল হয়ে গেল তাঁর পরিবারও। পরিবারকে বিদায় জানিয়ে ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বুম ধরে ফের কাজে যোগ দিলেন সাংবাদিক দৃশ্যটা অনেককেই অবাক করে দিচ্ছে এমূহুর্তে।
জানা যাচ্ছে যে সময় ইজরায়েলের বিমানহানা চলছিল সেই সময় গাজ়ার নুসেরত ক্যাম্প এলাকায় বাড়িতেই ছিল দাহদৌয়ের পরিবারের সদস্যরা। বিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন দাহদৌয়ের স্ত্রী এবং দুই সন্তান। যুদ্ধ আর যুদ্ধের দৌলতে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু। এ ঘটনা তো তাঁর কাছে নতুন নয় কিন্তু তারই শিকার হল সাংবাদিকের নিজের গোটা পরিবার।য়এর পরের ছবিটাই চোখে জল এনে দেয় বিপর্যয়ের পর ক্ষণিকের বিরতি তারপরই আবার ‘প্রেস’ লেখা পোশাক হেলমেট পরে হাতে বুম নিয়ে গাজ়ায় হামলার দৃশ্য গোটা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজে লেগে পড়েন সাংবাদিক। দাহদৌয়ে বলেছেন ক্যামেরার সামনে আবার দাঁড়িয়ে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গাজ়ার পরিস্থিতিকে তুলে ধরা মনে করি, এটাই আমার কর্তব্য।
এক ধ্বংসস্তূপের দিকে আঙুল নির্দেশ করে তিনি বলতে থাকেন ওই যে দেখছেন, চারদিকে শুধু গোলাগুলির আওয়াজ ক্রমাগত বিমানহানা এবং গোলা ছোড়া হচ্ছে তাই প্রিয়জনদের হারানোর শোক বুকে চেপে রেখে আবার নিজের কর্তব্য পালনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আল জ়াজিরার এই সাংবাদিক। দাহদৌয়ে জানেন তিনি আজ একা নন এই মুহূর্তে একই শোক কুরে কুরে খাচ্ছে সেখানকার বহু মানুষকে। কারোর সন্তান নেই কারোর স্ত্রী, স্বামী, মা, বাবা, প্রেমিক, পরিবার। আর সেই যন্ত্রণাকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা তাঁর পেশাগত দায়িত্ব তো বটেই হয়তো মানবিক তাগিদও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম