।। প্রথম কলকাতা ।।
কালজয়ী গান কারার ওই লৌহ কপাটের রিমেক করেই চরম বিতর্কে এ আর রহমান। এবার তাঁর পাল্টা জবাব দিলেন হিরো আলম। গান শুনে অনেকেই রহমানকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন আপনার গানের সুর বদলে দিলে কেমন লাগতো?
ব্যাস এবার সেই কাজই করেই সঙ্গীত পরিচালককে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিলেন হিরো আলম। নিজের গলায় নিজের সুরে জয় হো গান গাইলেন। নজরুলগীতিকে বদলে বাঙালির আবেগকে অপমান! মেনে নিতে পারেননি কেউই প্রতিবাদে যা করলেন হিরো আলম প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
কাজী নজরুল ইসলামের এই গান বিদ্রোহের কথা বলে। গানের সেই মূল ভাবকেই বিকৃত করে ফেলেছেন রহমান। নেটিজনদের অভিযোগ, গানটিকে না বুঝেই সেটির নতুন সংস্করণ তৈরি করে ফেলেছেন সঙ্গীত পরিচালক। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, এমন একটি কালজয়ী কাজ নিয়ে যে কোনও ধরনের কাঁটাছেড়াই অন্যায়। এ আর রহমানের গান গাইলেন বাংলাদেশের হিরো আলম। তাও একদম নিজের সুরে যেমন ভাবে। পেরেছেন। এ আর রহমানের গানকে সেভাবেই রেকর্ড করলেন। যে গান শুনলে এখনো মানুষের গা শিউরে ওঠে সেই গানটি বিকৃতি করেছেন এ আর রহমান। তাহলে তার গানের সুরও যে কেউ বদলে দিলে আপত্তি থাকার কথা নয়। তাই নিজের মনের মতো রহমানের গান গেয়ে সেই ভিডিও পোস্ট করলেন। ্অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভিডিওটি দেখে। কেউ কেউ বলছেন এতোদিনে হিরো আলম কাজের কাজ করেছেন।
পিপ্পা ছবিতে ব্যবহৃত কাজী নজরুল ইসলামের কারার ওই লৌহ কপাট গানটির সুর বিকৃতি নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ। অবশেষে সোমবার রয় কাপুর ফিল্মস-এর তরফে বিবৃতি দেওয়া হয় কিন্তু ছবির প্রযোজক, পরিচালক এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আমরা সবাইকে জানাতে চাই নজরুল পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নেওয়ার পরেই গানের সুরে বদল আনা হয়েছে। তা সর্বোতভাবেই শিল্পের খাতিরে করা। নজরুলের নাতি কাজী অনির্বাণ ও পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনে এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল
গানটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে তার মূল ভাবটাই হারিয়ে গিয়েছে। এমনই অভিযোগ। অস্কারজয়ী শিল্পী এআর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে বাঙালি। তীর্থ ভট্টাচার্য, রাহুল দত্ত, পীযূষ দাস, শালিনী মুখোপাধ্যায় এবং অন্যরা। এদের উপরও ক্ষোভ বাড়ছে। ১০ নভেম্বর অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে পিপ্পা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মাতা এই গানটি বাদ দেন কিনা সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম