।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতের বর্ডারে মাছিও গলতে পারবে না। সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ঢোকার দিন শেষ। ভারতের সীমান্ত আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স দিয়ে ঘিরছে ইন্ডিয়ান আর্মি। গালওয়ান-তাওয়াংয়ে পিএলএ আর্মি পা রাখলেই অ্যালার্ম। কয়েক সেকেন্ডে হবে পাল্টা অ্যাটাক। কমতে কমতে অনুপ্রবেশ এবার হবে একেবারে জিরো। একসঙ্গে পাকিস্তান ও চীনের কুকীর্তি বন্ধ করছে ভারত। জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তে পা রাখতে ১০০ বার ভাববে জঙ্গিরা। কারণ একবার বর্ডার লাইন ক্রস করলেই শেষ। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স তুলে ধরবে পাই টু পাই খবর। জঙ্গিরা ঢুকতে গেলে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সই কি করবে অপারেশন? পূর্ব লাদাখে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এআই বেসড সারভিলিয়েন্স সফটওয়ার অগ্নি-ডি।
আমেরিকা, চীন, রাশিয়ার পর এবার ভারত ভারতীয় সেনাও হাঁটছে সেই পথেই। খবর পাওয়া যায় এআই রিয়েল টাইম মনিটারিং সফটওয়ার সীমান্তের বিশেষ বিশেষ এলাকায় অলরেডি লাগানো হয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেসব এলাকা উদ্বেগের সেখানেই থাকছে এই মেশিন। কিন্তু আপনি ভাবতেই পারেন সীমান্ত বা সীমান্তবর্তী এলাকায় এআই এর দরকার কী? সেনাবাহিনীর জওয়ানরা তো দিনরাত এক করে পাহাড়া দেন সীমান্তে। তারা কী অনুপ্রবেশ রুখতে পারছেন না?আপনি ভাবতেই পারেন সেনাবাহিনীকেও যদি এআই-ই চালায় তাহলে তো সেনা জওয়ানদের আর দরকারই পড়বে না। বিষয়টা কিন্তু একেবারেই তেমন নয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা এআই পদ্ধতিতে সীমান্ত বরাবর বসানো হচ্ছে অনুপ্রবেশরোধী সেন্সর। ১৪০ টা এআই বেসড সারভিলিয়েন্স সিস্টেম বসানো হয়েছে। তাতে থাকছে ফেসিয়াল ও ভয়েস রেকগনিশন। অপটিক্যাল ফাইবার যুক্ত কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল পদ্ধতি। নাইটভিশন ক্যামেরা ও রেডারও থাকবে যথাস্থানে। এর মানে রাতের অন্ধকারকে আর দুর্বল মূহুর্ত ভেবে ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছে LAC হোক বা LOC এই সীমান্তে এলাকা কিন্তু ছোটখাটো নয় বরং কয়েক গুণ বড়। তাই সবজায়গায় সেনার পাহারা খুব একটা সহজ বিষয় নয়। কোথায় পাহারায় ফাঁক থাকলেই পাকিস্তান থেকে হয়ে যায় অনুপ্রবেশ। যেমন সুড়ঙ্গ খুঁড়েও ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাক সমর্থনপুষ্ট জঙ্গিরা। তবে সেই দিন এবার কার্যত শেষ হতে চলেছে। সেনা সূত্রে খবর এই এআই বেসড সিস্টেম শত্রুপক্ষের তরফ থেকে কোনওপ্রকার হামলা হলে অনুপ্রবেশের সময় সেনার ওপর কোন অ্যাটাক হতে চলেছে এই সব খবর সেই সঙ্গে কীভাবে কোন কৌশলে তার পাল্টা দিতে হবে সেক্ষেত্রেও সাহায্য করবে ভারতীয় সেনাকে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স সিস্টেমকে কন্ট্রোল করতে বা চালাতে হলে সেনাজওয়ানদেরই দরকার।তারা না থাকলে এই কাজ সম্ভব নয়। সেজন্য তাদের প্রপার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বর্তমানে।
জানা যাচ্ছে ভারত ও আমেরিকা মিলে ডিফেন্স আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স ডায়লগ লঞ্চ করতে চলেছে। সেইসঙ্গে যৌথভাবে সাইবার ট্রেনিং দিতে চলেছে তারা। ভারতীয় সেনাকে আরও মর্ডানাইজ করতে একের পর এক চমক দিচ্ছে ভারত। তাতে শক্তিশালী হচ্ছে দেশ ক্ষমতা বাড়ছে ভারতীয় সেনার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম