।। প্রথম কলকাতা ।।
Johnson & Johnson: বেবি পাউডারেই লুকিয়ে ক্যানসারের বিষ! ফের একবার চরম অস্বস্তিতে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’! দিতে হবে বিপুল অঙ্কের জরিমানা। আপনার বাচ্চাটিকেও কি জনসনের বেবি পাউডার মাখাচ্ছেন? তাহলে আজই ছুঁড়ে ফেলুন সেটি। এই বেবি পাউডারেই লুকিয়ে রয়েছে মারণ রোগের বিষ। ক্রমাগত ক্ষতি করে চলেছে আপনার দুধের শিশুটির। অচিরেই শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যান্সারের মত দূরারোগ্য ব্যাধি। আর কী কী ক্ষতি করছে জনসনের বেবি পাউডার?
গত কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক ঘিরে রেখেছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারকে। গ্রাহকদের অভিযোগ, জনপ্রিয় এই সংস্থার বেবি পাউডার থেকে নাকি ছড়াচ্ছে ক্যান্সার। আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনার খুদের জন্য যে ব্র্যান্ডটিকে আপনি এতদিন ধরে ভরসা করে এসেছেন তাতেই নাকি রয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর সব কেমিক্যালস। এমনকি ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেনা বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই জনসনকে বয়কট অবধি করতে শুরু করেছে বহু গ্রাহক।
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বজুড়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে জনসনের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার ৬৫০ কোটি ডলারের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন এবং তার স্পিন অফ তথা সহযোগী সংস্থা কেনভিউকে। তবে প্রশ্ন হল, জনসনের বিরুদ্ধে এতবড় অভিযোগের ভিত্তি কী? এতদিন যে ট্যালকম পাউডার আপনি আপনার শিশুকে অনায়াসে মাখিয়ে এসেছেন, সত্যিই কি তাতে ক্যান্সার ছড়ায়? কোথা থেকে জানা গেল এই খবর? কী বলছেন গবেষকরা?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জনসনের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ উঠেছিল ২০১৫ সালে। সেবছর ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬২ বছর বয়সী জ্যাকি ফক্স। তার পরিবারের দাবি ছিল তিনি নাকি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতেন। তারা মনে করেন জ্যাকির মৃত্যুর কারণ ঐ ট্যালকম পাউডার।
এই ঘটনার পর ২০২০ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হন টেরেসা। মিডিয়া বলছে, তার মেসোথেলিওমা হয়েছিল। মনে রাখবেন এটি এমন এক ক্যানসার, যা অ্যাসবেস্টসের কারণে হয়ে থাকে। এই অ্যাসবেস্টস শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর প্রভাব এতটাই যে, বড়োরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডারে নাকি অ্যাসবেস্টসের ভরপুর নমুনা পাওয়া গেছে। মৃতার পরিবারের দাবি ছিল, কোম্পানি এই অ্যাসবেস্টস সম্পর্কে ভালো করেই অবগত। কিন্তু তা সত্বেও খুল্লমখুল্লা সেটি বিক্রি করে চলেছে তারা। সেবার ক্যালিফোর্নিয়ার সুপিরিয়ার কোর্ট ভারতীয় টাকায় প্রায় ১৯৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় জনসনকে।
ভাবতে পারছেন, এই অভিযোগ ঠিক কতটা বড়। আমাদের অগোচরেই ঠিক কতটা ক্ষতি করে আসছে এই জনসন। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর শুনে আতঙ্কিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যদিও জনসন এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা শুরুর থেকেই দাবি করে আসছে তাদের বেবি পাউডারে এমন কিছু নেই যা থেকে ক্যান্সার ছড়ায়। তবে মার্কিন মুলুকেই প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা যখন একযোগে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তখন তো প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসতেই হত। শোনা যাচ্ছে, এই ৩৫ হাজার মহিলাই নাকি জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর তারা প্রত্যেকেই আঙুল তুলেছেন জনসনের দিকে।
তবে এতকিছুর পরেও জনসনের দেমাক কমেনি। সম্প্রতি এই বিষয়ে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এই রায়কে স্বীকার করেননা। প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তবে একথা তো মানতেই হবে যে, এতবড় অভিযোগের তীর যখন উঠেছে তখন তাতে সত্যতাও হয়ত আছে। তাই এবার থেকে আপনার বাড়ির সন্তানটিকে কোনও প্রোডাক্ট মাখানোর আগে তা নিয়ে রিসার্চ করুন। সবদিক নিরাপদ মনে করলে তবেই তা আপনার শিশুকে দিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম