।। প্রথম কলকাতা ।।
Silver Coin Recover : গ্রামে চলছিল রাস্তার পাশে পাইপলাইন বসানোর কাজ। যার জন্য নিয়ে আসা হয় জেসিবি মেশিন। কাটা হচ্ছিল মাটি। তবে মাটি কাটার কাজ চলার সময় আচমকাই এলাকা জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন সেখানে। কারণ জেসিবি দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি থেকে বেরিয়ে এসেছে আস্ত একটি কলসি। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই সেই মাটির কলসিটি নয়। বরং কলসির মধ্যে থাকা রুপোর মুদ্রা (Silver Coin)। মাটির মধ্যে ছড়ানো রুপোর মুদ্রা দেখে গ্রামবাসীদের প্রায় চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়।
মুদ্রা সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের (Basirhat) সংগ্রামপুর শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদিয়াঘাটা গ্রামে। গত সপ্তাহের শুক্রবার ওই গ্রামে রাস্তার উপরে পাইপ লাইনের কাজ করার জন্য জেসিবি মেশিন নিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। আর মাটি কাটার সময় মাটির নিচ থেকে কলসি ভর্তি রুপোর মুদ্রা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চলায় এলাকায়। পুলিশের কানে খবর জেতেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বসিরহাট থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সেই রুপোর মুদ্রা। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখান থেকে ৫১ টির উপর মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে।
তবে আরও কিছু রুপোর মুদ্রা আপাতত রয়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের কাছে। সেইগুলি যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করা হবে এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আর্কিওলজি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Archeology Survey Of India) তরফ থেকে প্রতিনিধিরা। এক প্রতিনিধি জানান, যে মুদ্রা গুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি সবই ব্রিটিশ আমলের। রানি এলিজাবেথ, কিং জর্জ এবং এডওয়ার্ডের কয়েন রয়েছে সেখানে। রুপোর কয়েন গুলো আদৌ আসল কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আর্কিওলজি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের তরফ থেকে জানানো হয়, চোখের দেখা দেখে আসল নকল বিচার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার করা রুপোর কয়েনগুলি পরীক্ষা করা হবে। তবে আপাত দৃষ্টিতে সেগুলিকে দেখে আসল বলেই মনে হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই মুদ্রা উদ্ধারের নেপথ্যে অন্য গল্পেই বিশ্বাস করেছেন। ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা এক বৃদ্ধা রেনুকা ব্যানার্জি বলেন, তিনি শুনেছেন ওই গ্রামে আগে বসবাস ছিল গোপাল কাপালি নামে এক ব্যক্তির। যেই জায়গায় এই রুপোর মুদ্রা পাওয়া গেছে সেখানেই তাঁর বাড়ি ছিল। ওই ব্যক্তির নিঃসন্তান ছিলেন। গ্রামবাসীদের দাবি তিনি চুরি করতেন। কাজেই তাদের অনুমান এই রুপার মুদ্রা চুরি করে তিনি জমা করে রেখেছিলেন। কোন কারনে তাঁর বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর সেগুলি মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। আবার অনেকেই মনে করছেন, যে জায়গা থেকে রুপোর মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে সেটি একসময় ইছামতি নদীর তীর ছিল। পূর্বে ওই নদী দিয়ে বড় বড় নৌকায় ব্যবসায়ীরা মালপত্র বয়ে নিয়ে আসতেন। সেখান থেকেও মুদ্রা গুলি আসতে পারে, এই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম