।। প্রথম কলকাতা ।।
Shah Rukh Khan: আবার সুপারহিট। পাঠানের পর এবার জওয়ান। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই অ্যাকশন ড্রামা। জওয়ান হিরোর গলায় ঝুলতে থাকা লকেটটি আপনি খেয়াল করেছেন কি? পর পর সাফল্যের পেছনে কি এই লকেট?তা এক মুহূর্তও খোলেন না বলিউড কিং! শাহরুখের প্রাণের চেয়েও প্রিয় গলার লকেটের রহস্য জানলে বেড়ে যাবে শ্রদ্ধা। কেন সর্বদা শাহরুখের গলায় থাকে এই লকেট? কারণটা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। কি রয়েছে ওই লকেটে? নেপোটিজমে ভরা বলিউডে নিজের এক দুনিয়া তৈরি করেছে ‘বাদশা’ শাহরুখ খান।
দিল্লির এক ছাপোষা পরিবারের ছেলে। সেখান থেকে বিশ্বের সেরা তারকাদের একজন হয়ে ওঠার সফরটা সহজ ছিল না। ধন সম্পদ থেকে শুরু করে সম্মান প্রতিপত্তি আজ কী নেই তার কাছে? তার চেয়েও তাঁর কাছে দামি গলার এই লকেট। কেন জানেন? দশকের পর দশক ধরে সাফল্য যেন তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। তবুও তিনি ভুলে যাননি শিকড়ের টান। আকাশকে ছুঁয়ে ফেলেও তিনি যেন মাটির কাছাকাছি। তবে তাঁরও মনখারাপ হয়, তিনিও আবেগপ্রবণ হন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই। খুব অল্পবয়সে বাবা-মাকে হারিয়েছেন শাহরুখ। খ্যাতির জন্য তাঁর লড়াই কাছ থেকে দেখেছেন অনেকেই। তাঁরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, সহজ ছিল না শাহরুখের সফরটা।
মাত্র ২৬ বছর বয়সে, নিজের পরিবার থেকে শুরু করে সমস্ত হারিয়েছিলেন শাহরুখ। সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শাহরুখ এখনও যেন এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেন না একটি যন্ত্রনা। সেই যন্ত্রণা তাঁকে আজও কুড়ে কুড়ে খায়। আর সেই যন্ত্রণা হল নিজের বাবা মাকে হারানোর যন্ত্রণা। সালটা ১৯৮১। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন শাহরুখের বাবা মীর তাজ মহম্মদ খান।তার ১০ বছরের মাথায় মা-কেও হারান তিনি। ছেলের এই নাম যশ খ্যাতি কিছুই দেখে যেতে পারেননি কিং খানের বাবা ও মা। সেই কষ্ট তিনি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে জানেন কি পৃথিবীতে না থাকলেও শাহরুখ তার বাবা মা কে সবসময়ই কাছে নিয়ে থাকেন। শাহরুখ একবার বলেন, ‘আমি কোনও জিনিসের প্রতি সাধারণত অ্যাটাচড হই না। কিন্তু একবার এক জন্মদিনে আমি এই লকেটটা বানিয়েছিলাম। এটা একটা আশীর্বাদ, যা আমার মা-বাবা আমার জন্য করতো। ক্যামেরার সামনেই তিনি বইয়ের মতো নিজের লকেটটি মেলে ধরেন। তাতে দেখা যায় কিং খানের বাবা মায়ের ছবি। অনুরাগীরা শাহরুখের এই সাধারণ অথচ আবেগঘন কাজে অবাক, আবেগ আপ্লুত।শাহরুখ মনে করেন বাবা মায়ের আর্শীবাদ ছাড়া কোনও কাজে সফল হওয়া যায় না। কম বয়সে তাঁদের হারালেও বাবা মা র আর্শীবাদ সবসময় সঙ্গে রয়েছে তাঁর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম