।। প্রথম কলকাতা ।।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কানাডাকাণ্ডে কড়া জবাব জয়শঙ্করের। ভারতের জন্য নাকি কানাডা গণতন্ত্র বিপন্ন। ট্রুডোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত পাল্টা তুলোধনা আমেরিকাকে কৌশলেই বড় বার্তা দিল দিল্লি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকেরা বুঝে গেলেন এ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে ঠিক কাকে খোঁচা দিলেন। কানাডা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কি একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত? ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কী সরাসরি এর বিরোধিতা করলেন? আমেরিকার মাটি থেকেই কার্যত কানাডাকে সাবধান করলেন জয়শঙ্কর।
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে যে কানাডার হরদীপ সিং নিজ্জরের ইস্যু নিয়ে এবার জলঘোলা হবে সেটা আগেই বলে দিয়েছিলেন কূটনীতিবিদরা। মন্তব্যে এল দুতরফ থেকে তবে কানাডাকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে নাম না করে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগে কানাডা। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি বব রে বলেন “অন্য রাষ্ট্রগুলোর নাক গলানোর কারণে আমাদের গণতন্ত্র বিঘ্নিত হচ্ছে কোনও দেশ নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিয়ম বদল করতে পারে না। এরপরই যেন তীরের গতিতে ধেয়ে এল ভারতের প্রতিক্রিয়া। কড়া সুরে প্রতিক্রিয়াটা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন জয়শঙ্করকেই নিজ্জর হত্যার ব্যাপারে প্রশ্ন করে খানিকটা বেকায়দায় পড়তে হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের। নিজ্জর খুনের নেপথ্যে কী ভারত রয়েছে? নিউ ইয়র্কে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বলেন, “আমি ‘ফাইভ আইসে’র অংশ নই এফবিআইয়েরও কেউ নই ফলে আমার মনে হয় আপনি ভুল লোককে প্রশ্ন করেছেন”।
‘ফাইভ আইস’ নেটওয়ার্ক একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোট। এই জোটে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড কানাডার দাবি নিজ্জর খুনের ‘ফাইভ আইস’ রিপোর্ট রয়েছে শুধু তাই নয় এক্ষেত্রে জয়শঙ্কর একটা উক্তি বেশ ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের তিনি বলেন, ‘‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি সম্পর্কে কয়েকটি দেশ সচেতন কিন্তু তারাই আবার অন্যকে উপদেশ দিতে পিছপা হয় না। কানাডা না আমেরিকা কাকে খোঁচা দিলেন বিদেশমন্ত্রী? নিউ ইয়র্কে ‘ডিসকাসনস অ্যাট কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস’ সম্পর্কিত এক আলোচনাসভায় নাম নিয়েই বিদেশমন্ত্রী বলেন আসলে গত কয়েক বছরে কানাডা দেখেছে বহু সংগঠিত অপরাধ। যা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, হিংসা ও উগ্রপন্থার সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের নীতি হল যদি নির্দিষ্ট কোনও কিছু থাকে যা প্রাসঙ্গিক তাহলে আমাদের জানানো হোক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে এভাবেই ফের একবার কানাডাকে সঠিক প্রমাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল দিল্লি।
জয়শঙ্কর বলেন, কানাডায় জঙ্গি নেতারা বসে সংগঠিত অপরাধ করছে আর গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, সংগঠিত অপরাধ, হিংসা, উগ্রপন্থার সঙ্গে সম্পর্কিত তারা ভীষণ গভীরভাবে একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এর মানে জয়শঙ্কর সরাসরি কানাডার প্রতিনিধি বব রে-র মন্তব্যের পাল্টা দিলেন। কানাডাকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ল না ভারত বুঝিয়ে দেওয়া হল আগে প্রমাণ পেশ করুন তারপর এত বড়বড় কথা বলবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম