।। প্রথম কলকাতা ।।
মোদীর চরম টোটকা জয়শঙ্কররে ব্রিটেন থেকে আসতে পারে বড় খবর। ভারত-ব্রিটেনের বড় চুক্তিতে কাঁটা হতে পারে কানাডা। দিল্লির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে লন্ডন কষেছিল ফাঁদ। এবার কি ডিল ফাইনাল হতে পারে? ৫ টা দিনেই ব্রিটেনের মাটিতে কামাল দেখাতে হবে ভারতকে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবার কোন মন্ত্রে কূটনীতির মাঠে ঝড় তোলেন সেটাই তো আসলে দেখার বলছেন ব্লিশেষকেরা। বহুদিন ধরে ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে আটকে থাকা ফ্রি ট্রেড এবার যদি হয়ে যায় তাহলে কারা লাভবান হবে সবথেকে বেশি? কানাডা ইচ্ছে করে বাণিজ্য চুক্তি আটকে দিয়েছিল ভারতের সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে তার কোনও এফেক্ট ব্রিটেনের ক্ষেত্রে পড়বে না তো? দিওয়ালিতে সোজা ঋষি সুনকের বাসভবনে যান সস্ত্রীক বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে যা উপহার তিনি দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে তাতে তিনি আপ্লুত।
ভারত ও ব্রিটেন কেন মুক্ত বাণিজ্য করতে চাইছে?
জাপান, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো ১৩টি দেশ বা গোষ্ঠীর সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করা ভারতের সঙ্গে কেন ব্রিটেনের ফ্রি ট্রেড এত চেষ্টা সত্ত্বেও হচ্ছে না? মুক্ত বাণিজ্য বা ফ্রি ট্রেড আসলে কী? কেন এটা ভারতের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ? মুক্ত বাণিজ্য হল এমন এক বাণিজ্য নীতি যেখানে দুদেশের মধ্যে আমদানি বা রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হয় না। কর বা অন্যান্য বাণিজ্য বাধা ছাড়াই পণ্য পরিবহন হয়। কিন্তু বারবার এ নিয়ে মিটিং, আলোচনা, বৈঠক হলেও ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে কিছুতেই সমঝোতা সম্ভব হচ্ছে না কেন হচ্ছে না? কারণ ভারত ব্রিটেনের বেশ কিছু নীতিকে সমর্থন করে না কিন্তু এবার কি এস জয়শঙ্করের কাছে নতুন কোনো প্ল্যান আছে? এর ফাঁক বলে রাখি ঋষি সুনককে বিরাট কোহলির সাইন করা একটি ব্যাট গিফট করেছেন জয়শঙ্কর
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ‘ডেটা লোকালাইজেশন’ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে অর্থাৎ ভারত চায়, এ দেশে বাণিজ্য করতে আসা ব্রিটিশ সংস্থাগুলি। এখানকার পরিষেবাজাত তথ্য যেন নিজেদের ঘরে না নিয়ে নেয় বিষয়টির নিরাপত্তাগত দিক রয়েছে তা ছাড়া ভারতীয় বাজার এবং উপভোক্তা সংক্রান্ত বিপুল তথ্য বিদেশে চলে যাক এটা কোনভাবেই চায় না নয়াদিল্লি। সে ক্ষেত্রে ভারতের দাবি ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতের জন্য নির্দিষ্ট স্থানীয় সার্ভার তৈরি করতে হবে। আর সেই সার্ভার তৈরি করা আসলে ব্যায়বহুল।
আগে আলোচনা যতটা এগিয়ে ছিল তাতে কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঐক্যমতও হয়েছিল দুদেশের।যেমন ভারত হুইস্কি ও গাড়ি থেকে শুল্ক তুলে নেবে এবং যুক্তরাজ্য টেক্সটাইল ও অন্যান্য ভারতীয় পণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করবে। নেপথ্যে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত এক বছর ধরে এই নিয়ে দরকষাকষি চলছে। জয়শঙ্করের এবারের সফর তার অঙ্গ হতে পারে বলছে ওয়াকিবহাল মহল।ব্রিটেন চাইছে ভারতের সরকারি বরাতের ক্ষেত্রেও তাদের সংস্থাগুলি যেন দরপত্র দিতে পারে। এটাও চুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি জট। আবার ভারতও ব্রিটেনের বাজারের আরও বেশি নাগাল পেতে চাইছে। নয়াদিল্লি এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ব্রিটেন স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতীয় পরিষেবার প্রবেশের পথ আরও প্রশস্ত করলে তবেই তারা ব্রিটেনের হুইস্কি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেবে।
তবে হ্যাঁ এটা স্পষ্ট দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি আটকে রয়েছে এর কারণ নানান ক্ষেত্রে মতের মিল হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কানাডা চেয়েও বিশেষ কলকাঠি নাড়তে পারবে না এমনটাই দাবি করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ খালিস্তানি ইস্যুতে সুনক ট্রুডোর পাশে দাঁড়ালেও তাতে ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্কে বিশেষ এফেক্ট পড়েনি। এবার দেখার ব্রিটেনের সঙ্গে এবার এই ফ্রি ট্রেড ডিল কোন পথে এগোয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম