।। প্রথম কলকাতা ।।
কখনো ভিক্ষে করে খাবেন না তিনি তার কথায়,” ইমপসিবল। “অথচ রোদ বৃষ্টিতে সম্বল বলতে একটা মাত্র প্লাস্টিক। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। অভিমানের পাহাড় ডিঙিয়ে গত সাত বছর আর বাড়ি ফেরা হয়ে ওঠেনি। এই মহিলার জন্য এক পুলিশ কর্মী যা করলেন সেটাই দেখে যান।
দীর্ঘ ৭ বছর পর এই মা ছেলের মিলন ঘটালেন পুলিশ কর্মী বাপন দাস। ছেলের বুকে মাথা রেখে কেঁদে ফেললেন হাউ হাউ করে। গলে জল হয়ে গেল সব মান অভিমান। ছেলেও ফিরে পেল তার মাকে। ডানলপের বাসস্ট্যান্ডের কাছে ফুটপাতের ধারে এই মহিলার বাস। পথচারীরা তাকে কেউ খেয়ালই করতেন না। ফুটপাতে থাকলেও পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। খুব সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। ইংরেজি কিংবা বাংলা দুই ভাষাতেই পারদর্শী। কিন্তু পেশা শুনলে অবাক হবেন। তার সারাদিনের কাজ বলতে সোনালী সিনেমা হলের কাছে কাগজ কুড়ানো। দিনশেষে ঠিকানা সেই ফুটপাত।
সারাদিন কাগজ কুড়িয়ে যা আয় হয় তাতে কোন মতে পেট চলে যায়। কিন্তু কখনও কারোর কাছে ভিক্ষা চাননি।। সসম্মানে ফুটপাতের কোণে নিজের ঘর বাঁধলেও সেখানে কোন সুখ ছিল না স্বাভাবিক ভাবেই। তার চার সন্তান স্বামী সহ সুখের সংসার রয়েছে রায়গঞ্জে। নাম ঝর্ণা পাল। এই সাত বছরে তিনি না পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন, না পরিবারের লোক তার খোঁজ পেয়েছেন। এমন সময় হঠাৎ দেবদূতের মতো হাজির হন পুলিশকর্মী বাপন দাস। ঝর্ণা পালের একটা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ভিডিওটি প্রায় কুড়ি লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন। তাদের মধ্যেই ছিলেন ঝর্ণা পালের বড় ছেলে। মাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত যোগাযোগ করেন পুলিশকর্মী বাপন দাসের সঙ্গে। ৭ বছর পর বাড়ি ছাড়া মাকে আবার ফিরে পান নিজের কাছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম