।। প্রথম কলকাতা ।।
Sushant Singh Rajput: মৃত্যুর ১০ দিন আগেও মনোজ বাজপেয়ীর সাথে কথা বলেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। জানিয়েছিলেন মনের অস্থিরতার কথা। সুশান্ত নাকি ভেঙে পড়েছিলেন। চরম অস্থিরতা ঘিরে ধরেছিল ‘কাই পো চে’ অভিনেতাকে। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোজ। ঠিক কী কথা হয়েছিল মনোজের সাথে? কোন গোপন যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন সুশান্ত? অভিনেতার মৃত্যুর চার বছর পর আসল ঘটনা খোলসা করলেন মনোজ বাজপেয়ী।
আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে অতিমারি ও লকডাউনের আবহে এসেছিল সেই চরম দুঃসংবাদ। একটা খবরেই তোলপাড় পড়ে গেছিল গোটা দেশে। হঠাৎ করেই খবর মিলেছিল, সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই। এক পলকের জন্য থমকে গেছিল গোটা দেশ। অনুরাগীরা তো বিশ্বাসই করতে পারেননি যে তাদের প্রিয় তারকা আর নেই। ঠিক যেভাবে সুশান্তের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেননা বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী।
হ্যাঁ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন মৃত্যুর ১০ দিন আগেও তার সাথে কথা বলেছিলেন সুশান্ত। সুশান্ত নাকি নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর মনের অস্থিরতার কথা। কাতর কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘তিনি ভালো নেই, এক অদ্ভুত অস্থিরতা ঘিরে ধরেছে তাকে’। মনোজও বুঝেছিলেন, কোনও বিষয় নিয়ে সুশান্ত ভেঙে পড়ছেন! কিন্তু কেন ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা? সুশান্তের মৃত্যুর চার বছর পর সেই কথাই প্রকাশ্যে আনলেন মনোজ।
এখানে বলে রাখি সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক এক বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘সোনচিড়িয়া’। অভিষেক চৌবে পরিচালিত ছবিতে সুশান্তের সঙ্গে কাজ করছিলেন মনোজ বাজপেয়ী। সেই সুবাদেই বড্ড কাছ থেকে দেখেছিলেন সুশান্তকে। চিনেছিলেন অভিনেতাকে। শুনেছিলেন তার যন্ত্রণার কথা। তাই তার দুঃখটাও তিনি বেশ ভালো অনুভব করতে পারতেন।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কাননের মুখোমুখি হয়েছিলেন মনোজ। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে সুশান্ত সিং রাজপুতের কথা। একই সাথে উঠে আসে ‘ব্লাইন্ড আর্টিকেলস’-এর প্রসঙ্গও। এখন প্রশ্ন উঠবে, কী এই ব্লাইন্ড আর্টিকেলস? এটি এমন একটা জিনিস যেখানে আপনি নিজের পরিচয় গোপন রেখেই যে কারও সম্পর্কে মুখরোচক খবর লিখতে পারেন। একটা সময় সুশান্তকে নিয়েও লেখা হয়েছিল বিস্তর। মানুষ সেসব গসিপ গিলতও গোগ্রাসে।
আর সেসব নিয়েই নাকি চরম অস্থির ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বিরক্তি ঘিরে ধরেছিল তাকে। মনোজ বলেন, ‘এই সব খবরের পিছনে কোনও সত্যতা ছিল না। ও খুবই ভাল মানুষ ছিল। আর ভাল মানুষ বলেই এই সব খবর পড়ে ওর খারাপ লাগত। এসে জানতে চাইত, স্যর আমি কী করব? আমি বলতাম, ভাই বেশি সিরিয়াসলি নিস না। আমি জানি, কারণ আমি ভুগেছি, এখনও ভুগছি।’
মনোজ জানিয়েছেন, সুশান্তের সাথে শেষবার যখন কথা হয় তখনও আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এই ব্লাইন্ড আর্টিকেল। সেই সময়ও সুশান্ত তুমুল অস্থির হয়েছিলেন। তবে তিনি এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে, সুশান্ত কোনদিন নিজেকে শেষ করে দিতে পারে। এই ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরই আসে সেই দুঃসংবাদ। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার নিথর দেহ। পুলিশ জানায় আত্মহনন করেছেন তিনি। তবে কি এইসব ব্লাইন্ড আর্টিকেলসের জন্যই নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন সুশান্ত? নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। তবে উত্তর আজও অধরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম