।। প্রথম কলকাতা ।।
Chandrayaan-3: গতো ১০ বছরে ইসরো এত উন্নতির নেপথ্যে কে? ভারতের রকেট ওম্যানকে না চিনলে মিস করবেন। কটা বছরে এমন কোন চমক? যে আজ নাসা চাইছে ইসরোকে আর্যভট্ট দিয়ে শুরু তারপর চড়চড় কর চড়ছে সাফল্যের পারদ। কোন টোটকা কোন মন্ত্রে? মিশন ইজ সাকসেসফুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্সে বসেই খবর পেলেন৷ গোটা বিশ্বের আলোচনায় হট কেক আজ ভারত, ভারতের ইসরো, রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরীক্ষা করছে ভারত। মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে গগনায়ন।
সাফলতার পথে এই স্পিড কীভাবে তুলল ইসরো? ভেবে বলুন তো আজ থেকে ১০ বছর আগেও কি ইসরোকে নিয়ে এতটা আলোচনা হত? বিশ্বের এক নম্বর নাসা মহাকাশেও জোট বাঁধছে ইসরোর সঙ্গে। এটা আজ আর স্বপ্ন নয় এটা বাস্তব। মহাকাশ অর্থনীতিতে এখন অন্যতম বড় শক্তি হল ভারতবর্ষ। কীভাবে সেটা বলার আগে জেনে নিন ভারতের রকেট ওম্যান রিতু কাড়িধাল শ্রীবাস্তব তিনি কে? মঙ্গল অভিযানের সময়ই বিশেষ ভূমিকা ছিল ইসরোর সিনিয়র বিজ্ঞানী রিতু কাড়িধাল শ্রীবাস্তবের। চন্দ্রযান ৩য়ে নেতৃত্ব দিলেন তিনি ভারতের নিজস্ব রকেট কন্যা রিতু। ১৯৯৭ সালে ইসরোতে যোগ দেন তিনি। মিশনে নিজের প্রতিভায় পরিচয় দিয়েছেন ভারতের সোনার কন্যা।
১৯৭৫ ভারতের প্রথম স্যাটালাইট আর্যভট্ট তৈরি করে ইসরো। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ২ টাকার নোটের পিছনে আর্যভট্টের সেই ছবি থাকত। ১৯৮০- দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল এসএলভি-৩। ২০০৮ ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযানের বছর।
চন্দ্রযান ১-কে চাঁদে পাঠায় ইসরো তবে চাঁদের মাটিতে নয়। ৫৩ বছরের জার্নিতে এবার চন্দ্র মিশনের প্রথম ধাপে সাফল্য। ওয়াকিবহাল মহল বলছে আসলে মোদী সরকার শুধু স্বপ্নই দেখায়নি ইসরোকে বাস্তবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই জায়গায়। শুধু মোদীই নন এর আগেও ভারত সরকার সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইসরোকে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময়ই মহাকাশ অভিযানে যৌথ পদক্ষেপের লক্ষ্যে ‘আর্টেমিস চুক্তি’তে সই করেছে ভারত। এর মানে ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যে নাসাক আর্টেমিস মিশনের অংশীদার হবে ইসরো।
মোদী সরকারের পলিসিই ছিল মহাকাশ অর্থনীতিতে দেশের উন্নতির জন্য বেসরকারী কোম্পানিগুলো যুক্ত হোক। এ নিয়ে বেশ কিছু স্তরে বিতর্ক থাকলেও বস্তুত মহাকাশের আর্থিক কাজে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা বৃদ্ধি করতে চেয়েছে ভারত সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরোর এতদিনের সাফল্য হাতে গোনা হলেও ইসরো ৬১৫ কোটির এত কম বাজেটে চাঁদে অভিযানের যে সাহস দেখিয়েছে এটা নজির। ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন আজ এ মন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানের মতো দেশও ইসরোর রকেটকে ভরসা করে স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে মহাকাশে। সত্যিই প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্বে বুক চওড়া যাচ্ছে আজ৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম