।। প্রথম কলকাতা ।।
ইসরোর বড় ঘোষণা কবে চাঁদে যাচ্ছে মানুষ? শুক্রতেও পাড়ি এবার। ভূমিকম্প বা সুনামি হলে আগেভাগে জানতে পারা যাবে। ২০২৪ এ ইসরোর পরপর মিশন শুনলে অবাক হবেন। মহাকাশে জ্বালানি আবিস্কার করা হয়ে গেছে জানিয়ে দিলেন সোমনাথ। চীন-আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি কতটা? ইসরো তাহলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ঘোষণাটা করেই দিল নাসাকে ছেড়ে এগিয়ে যাবে ভারতের ইসরো, এমনটাও হবে খুব তাড়াতাড়ি। এবার ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ ঘোষণা করে দিয়েছেন বড় কিছুর। এ সংক্রান্ত আলোচনায় বিশেষ মহলের দাবি শুধু মহাকাশ বা চাঁদে মানুষ পাঠানো নয় ইসরোর ভবিষ্যতের তাস হতে পারে মহাকাশযানের এলওএক্স-মিথেন ইঞ্জিন। সেটা আবার কি? ইসরো ও নাসা একসঙ্গে যে মিশনে নামবে সেখান থেকে জানা যাবে ভূমিকম্প বা সুনামির আগাম আভাস।
একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন গগনযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চাঁদের আগে ইসরো অবশ্য মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার চার পাইলটকে মহাকাশচারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁরা বেঙ্গালুরুতে মহাকাশচারী সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সোমনাথ। সব ঠিক থাকলে দুই থেকে তিন জন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিয়ে ইসরোর যান নিম্ন কক্ষপথ বা লো আর্থ অরবিটে (এলইও) পৃথিবীকে তিন দিন প্রদক্ষিণ করে ভারতীয় জলসীমায় পূর্ব-নির্ধারিত স্থানে অবতরণ করানো হবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি এক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে ইসরোর সামনে এতটা সোজা হবে না গোটা প্রসেসটা।
এদিকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ISRO ২০২৪ সালে মহাকাশ নিয়ে বেশ কিছু প্রকল্প রেখেছে। এই বছর একগুচ্ছ আকাশযান লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৪ সালে পারি দিতে পারে গগনযান ১, মঙ্গযান ২। ২০২৪-এ নিসার নামে একটি নাসা এবং ইসরোর জয়েন্ট মিশন হতে চলেছে। এই মিশনে একটি সিন্থেটিক অ্যাপার্চার ব়্যাডার স্যাটেলাইট লঞ্চ করবে। এই ব়্যাডার স্যাটেলাইটটি যে তথ্য সংগ্রহ করবে তা পৃথিবীর ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প সুনামি সম্পর্কে জানান দিতে পারবে।
কী কী চ্যালেঞ্জ ইসরোর সামনে?
চাঁদে মানুষকে পাঠাতে প্রথমেই দরকার একটি শক্তিশালী-ভারী মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের। চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রধান কাণ্ডারী ছিল LVM-3 রকেট কিন্তু ২০৪০-এর চাঁদে মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে হলে দরকার আরও ওজন বহনের ক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশযানের এই ধরনের মহাকাশযান তৈরিতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতেই হবে।
মহাকাশযানের এলওএক্স-মিথেন ইঞ্জিন সেটা কী?
সোমনাথের মতে, মহাকাশ জ্বালানি হিসেবে মিথেন শক্তিশালীৎমহাকাশে জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করেও মিথেন সংশ্লেষ হতে পারে। এলওএক্স প্রকল্প সফল হলে মঙ্গলের মতো সুদূর গ্রহে যান পাঠিয়ে সেখানকার পরিবেশ জানার পথ সহজ হবে। অবশ্য শুধু মঙ্গল নয়, শুক্রের কক্ষপথে পৌঁছনোর তোড়জোড়ও শুরু করেছে ইসরো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম