।। প্রথম কলকাতা ।।
সৌদি আরব ইজরায়েলকে সবক শেখাতে বড় প্ল্যান করছে। ৫৭টা মুসলিম দেশ এক ছাদের তলায় কী হতে চলেছে এবার? সৌদির যুবরাজ আমেরিকাকে স্পষ্ট কথা জানিয়ে দিলেন এবার কী গোটা মুসলিম বিশ্ব একজোট হবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে? আমেরিকা মুখে বলছে এক কাজে করছে আরেক। মুখে ইজরায়েলকে ওয়ার্নিং এদিকে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো কাজ চলছে। সৌদি আরবের যুবরাজ মহঃ বিন সলমন এবার অ্যাকটিভ। ইজরায়েলের সঙ্গে আর কোনওধরণের কথাবার্তায় যাবে না সৌদি আরব। এর মানে এবার কি হবে সোজা অ্যাকশন? প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে ভয়াবহ হামলা করেছে তার ভিত্তিতেই সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫৭ টা মুসলিম দেশকে কেন বৈঠকে ডাকল রিয়াদ? পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, মিশর, বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশ সকলেই ইমপরটেন্ট এই মিটিংয়ের জন্য ডাক পেয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে এবার কি এই যুদ্ধে প্যালেস্টাইনের হয়ে ময়দানে নামবে গোটা মুসলিম বিশ্ব? বড়সড় প্রত্যাঘাতের প্ল্যান হবে সৌদি আরবের নেতৃত্বে? আমরা সবাই বন্দুক তাক করে রেখেছি হামলার জন্য একেবারে প্রস্তুত ইরান চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলকে। আর এই আবহে সৌদি আরব কথা বলল আমেরিকার সঙ্গে। রিয়াদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রাসাদে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ব্লিঙ্কেনকে স্পষ্ট ভাষায় সলমান জানিয়ে দেন গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত করতে, বর্তমান সংঘাত বন্ধ করতে এবং গাজায় অবরোধ প্রত্যাহারসহ স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধারের জন্য সৌদি আরব কাজ করছে এমনটা যু্ক্তরাষ্ট্রকে জানান তিনি। কিন্তু আমেরিকার এখানেও ডাবল গেম? মুখে গাজা নিয়ে ইজরায়েলকে তোপ কিন্তু এদিকে অস্ত্রসাহায্য? ইজরায়েলের সঙ্গে আমেরিকার আসলে কী ডিল হয়েছে?
সৌদি যে এমূহুর্তে আমেরিকার ওপর বিশেষ ভরসা করছে না বা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর গোটা পরিস্থিতি সামলানোর ভার দিচ্ছে না সেটা জলের মতো পরিস্কার ওআইসির বৈঠকে ডাক থেকেই। বুধবার সৌদির জেড্ডা শহরে অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (OIC)-র সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা যোগ দেবে। বৈঠকে কোনওধরণের রাখঢাক না রেখে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান বলে দিয়েছেন ইহুদি আগ্রাসন বন্ধ না হলে ওই এলাকায় আমাদের সকলের বন্দুক তাক করা আছে। সকলের বলতে কাদের কাদের কথা বললেন তিনি? কোন কোন মুসলিম দেশ প্যালেস্টাইনকে ময়দানে নেমে সাহায্য করবে? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। আমেরিকা পারবে তো পরিস্থিতি সামলাতে তাদের ছত্রছায়া বড় হয়ে ওঠা ইজরায়েলকে সামলাতে?
এদিকে ইজরায়েলকে হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে কাতারকেও প্যালেস্তাইনবাসীকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বরদাস্ত করবে না কাতার। এই পরিস্থিতিতে অন্তত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওআইসির বৈঠক। মুসলিম দেশগুলি একজোট হয়ে সেক্ষেত্রে কী অবস্থান নেয় সেদিকেই নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম