।। প্রথম কলকাতা ।।
ইজরায়েলের হুঙ্কারে ইরান পিছিয়ে গেল? হামাসকে নিয়ে বড় ঘোষণা। তেহেরানের হতবাক ফিলিস্তিনরা আমেরিকা যে কোনও সময় নিতে পারে স্টেপ। ইজরায়েলকে কি ভয় পাচ্ছে তেহেরানকে? ইজরায়েলর সঙ্গে যুদ্ধে জড়া তেরাজী নয় হামাস। ইজরায়েলের সঙ্গে পেরে উঠবে না কোনওদিন হামাস। এমনটাই প্রকাশ্যে বোঝানো হয়েছিল কিন্তু তারপর উল্টো খেলা। মোসাদকে যেভাবে ঘোল খাওয়ানো হয়েছিল তা বিশ্বকে সত্যি অবাক করছে। নেতানইয়াহু তো বলে দিয়েছেন এর বদলা মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে রেখে দেবে।
এরপরই কি ইরান এক পা এক পা করে পিছু হটছে?ইরানের প্রেসিডেন্ট খামেনি ঘোষণা করে দিলেন হামাসের এই হামলার নেপথ্যে কোনওভাবে ইরানের হাত নেই। তেহেরান কি কোনওভাবে আশঙ্কা করছে যে এবার ইরানের ওপরও চড়াও হতে পারে ইজরায়েল? মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হামাসের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সস্তা ড্রোনই ইসরাইলের সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাকে অকেজো বলে প্রমাণিত করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস এবিষয়ে কথা বলেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনের দাবি হামাস ও ইরানের সম্পর্ক বহুদিনের। বহু বছর যাবত হামাস-এর ঘনিষ্ঠ সমর্থক এবং সাহায্যকারী হিসেবে রয়েছে তেহরান
হামাসকে অর্থ এবং বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সহায়তা দেয় তেহেরান। এমনকি হামাসের কাছে রকেটও আসে ইরানের কাছ থেকেই হামাস হামাস হয়ত না যদি না ইরান তাদের সমর্থন করত। এছাড়াও বিবিসিকে হামাসের মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছিল ইজরায়েলর ওপর এই সারপ্রাইজ হামলায় ইরান তাদেরকে সাহায্য করেছিল। এছাড়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য বলছে গত সপ্তাহেই লেবাননের রাজধানী বেইরুটে হামাস ও হিজবুল্লার সিনিয়রদের সঙ্গে ইরান সেনা প্রতিনিধিদের মিটিংও হয়েছিল।
তাহলে এখন হঠাৎ সহযোগীতার হাত কেন তুলে নিচ্ছে ইরান? তারা কি বুঝতে পারছে একটা প্রমাণও ইজরায়েলের হাতে আসলে তাদের ওপর হামলা করতে কোনওভাবে দেরি করবে না তারা। তাহলে কি পিছন থেকে হামাসকে সাহায্য আর সামনে সাধু সাজার চেষ্টা?প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। কূটনৈতিক মহলের দাবি ইরান যেহেতু ইসরায়েলের অন্যতম শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত সেজন্য ইহুদি রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার স্বার্থ রয়েছে ইরানের। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর প্রাক্তন অফিসার হাইম তোমর বিবিসিকে জানিয়েছে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছে এমন খবরে ইরান নড়েচড়ে বসে এটা তারই বদলা। তবে ইরানের এই সাহায্য নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে অনেকের। বিশেষজ্ঞদের একাংশের এটাও দাবি ইরান হামাসকে সমর্থন করলেও এই হামলা ৭৫ শতাংশ হামাসের নিজেদের প্রচেষ্টা। যদিও ইরানের বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি ভবিষ্যতে প্রমাণ হাতে এলে ইজরায়েল কী স্টেপ নেয় সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম