।। প্রথম কলকাতা ।।
Israeli Strike on Syria: ভূমিকম্পে (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey) আর সিরিয়া (Syria)। সিরিয়ার বেশ কিছু এলাকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পের ২ সপ্তাহের মধ্যে ধাক্কা না সামলাতেই সিরিয়ার দিকে ছুটে এল ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র। সিরিয়ায় ইসরায়েলের এই আক্রমণ প্রথম নয়, প্রায় ১০ বছর ধরে ইসরায়েলের রাগ যেন কমছে না। যার নেপথ্যে রয়েছে রয়েছে শক্তিশালী রাষ্ট্র ইরান (Iran)।
ভূমিকম্পের ফলে এখনো পর্যন্ত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে উদ্ধার কার্য অব্যাহত। এসবের মাঝেই দেশটির রাজধানী দামেস্কেতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল। এই ঘটনার জন্য মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে কাফর সুসা আবাসিক এলাকায়। রীতিমত টার্গেট করে ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানীর বেশ কয়টি এলাকায় এই অভিযান চালিয়েছে। আসলে সিরিয়াতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে ইরান। যার সঙ্গে মহা শত্রুতা ইসরায়েলের। কয়েক মাস আগেই দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চলেছিল। যার কারণে নিহত হন ৪ জন। এখন সিরিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ জনের। অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনার তিনদিন পর এই অঞ্চলে সরকারি সাহায্য পৌঁছায়।
সিরিয়ার উপর ইসরায়েলের এই আক্রোশ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। এত বছর ধরে সিরিয়াকে পিছন দিক থেকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে রাশিয়া আর ইরান। অপরদিকে প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করলেও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ বহু পশ্চিমা দেশ। ২০২২ সালে সিরিয়ায় প্রায় ১ কোটি ৪৬ লক্ষের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন পড়েছিল। বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সিরিয়ায় প্রায় ৫ লক্ষের বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে লক্ষ লক্ষ সিরীয়।
ইরানের নেতারা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের ঘোর বিরোধী। এর আগেও ইরান ইসরায়েলকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কথা বলেছে। অপরদিকে সিরিয়ায় কর্তৃত্ব চালায় ইরান। ইরানের কর্মকর্তা, সামরিক উপদেষ্টা, সৈন্য ছাড়াও রয়েছে কুদস নামক মিলিশিয়া বাহিনী। যা সিরিয়ার সরকারকে সমর্থন করে। এর আগে ইসরায়েল অভিযোগ তুলেছিল ইরান নাকি সিরিয়ার ভিতরে ব্যারাক, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অস্ত্র গুদাম তৈরি করেছে। ২০১১ সালের সিরিয়ায় যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষকে নিজেদের লক্ষ্য বস্তু বানিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সিরিয়াকে কেন্দ্র করে বারংবার ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালেও তা এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত রূপের যুদ্ধে পরিণত হয়নি। তবে দুই দেশই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। ইরান সিরিয়ার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি গুলোতে গোয়েন্দা কেন্দ্র করে তুলেছে। ২০১১ সালের সিরিয়ার যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল তার প্রতিবেশী দেশের উপর প্রায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলা চলে সিরিয়ার সেনাবাহিনী, ইরানি বাহিনী আর লেবাননের হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে। সম্প্রতি সিরিয়ার যে এলাকায় ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সেখানে রয়েছে নিরাপত্তা সংস্থা আর গোয়েন্দা সদর দপ্তর গুলো। পাশাপাশি হামলা চলেছে আবাসিক এলাকাতে। ইসরায়েলের লক্ষ্য ইরানকে কখনোই সীমান্তে প্রভাব বিস্তার করতে দেবে না। যার জন্য বারবার টার্গেট হচ্ছে সিরিয়া।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম