।। প্রথম কলকাতা ।।
হিজবুল্লা প্রস্তুত যুদ্ধের জন্য চরম হুঁশিয়ারি। হিজবুল্লাকে নিয়ে কেন চাপে ইজরায়েল? কবে থেকে ময়দানে নামছে লেবাননের ফোর্স? হিজবুল্লা যুদ্ধে নামলে ইরান বদলে দেবে চেহারা। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ এক অবস্থায়, কিন্তু একবার হিজবুল্লা বাহিনী ময়দানে নামলে যুদ্ধ নেবে অন্য মোড় এমনটা দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা, কিন্তু কেন? হিজবুল্লার ক্ষমতা কি ইজরায়েলের থেকেও বেশি? নাকি হিজবুল্লার রাজনৈতিক প্রভাব অনেক খেলা বদলে দিতে পারে? এরইমধ্যে বড়সড় ঘোষণা করে দিল হিজবুল্লা বাহিনী ঠিক কবে তারা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে নামছে সোজা তারই ঘোষণা। হিজবুল্লা কারা? কীভাবে এই বাহিনীর উত্থান?
যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, জাতিসংঘসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধ থেকে তফাতে থাকতে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এএফপিকে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাসিম জানিয়েছেন হিজবুল্লাহ এসব সতর্কবার্তাকে আমলে নিচ্ছে না। কারা কি বলল, তাতে হিজবুল্লাহর কিছু যায়-আসে না আমরা আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত। লেবাননে গৃহযুদ্ধ চলার সময়ে দেশটিতে শিয়াদের সশস্ত্র গোষ্ঠি হিজবুল্লাহ’র উত্থান হয় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক স্বাধীন গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের এক নিবন্ধে বলা হচ্ছে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব হবার পর দেশটির রেভ্যুলশনারি গার্ডের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে হিজবুল্লা। এই গোষ্ঠী জন্ম নেওয়ার পর লেবানন-ইসরায়েলের সমীকরণ অনেকটাই বদলে যায়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে হিজবুল্লা ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেও হিজবুল্লা ১৯৯২ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় এবং আটটি আসনে জয়লাভ করে। তাদের উত্থানে অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে ইসরায়েল।
তাদের ঘোষিত নীতিই ছিল ইহুদি রাষ্ট্র ধ্বংসের লক্ষ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে তাড়ানো এবং জেরুজালেম মুক্ত করা। হেযবোল্লাহ’র ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ২০০০ সালে দখলকৃত উত্তর লেবানন থেকে পুরোপুরি সরে যেতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। এর মানে হিজবুল্লার কাছে মাথা ঝোকাতে হয়েছিল ইহুদি রাষ্ট্রকে। এখন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাসিম জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের বৃহত্তম এই শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী বর্তমানে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষায়। সেই সময় এলেই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হামাসের পক্ষে যোগ দেবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের মত সেক্ষেত্রে ইরানেরো ভোল বদলে যেতে পারে। ইরান যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও বড় সমর্থন থাকবে। সেক্ষেত্রে ইজরায়েল কি স্ট্র্যাটেজি নেয় সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম