।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel-Hamas war: কাঁটার চক্রব্যূহে আটকে গেল ইসরাইল। নেতানিয়াহুর একটা ব্লান্ডার, গোটা বিশ্ব ছিটকে গেল ইহুদী ভূমি থেকে। গাজার বুকে গভীর ক্ষত, চোখের বিষ হচ্ছে আইডিএফ। আমেরিকাও ব্যাক টার্ন নিলে? নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইসরাইল এর মতো একটা দেশ? নেতানিয়াহুর সাজানো ঘুঁটি ভেস্তে দিল হামাস। গাজার মাটির দম আছে। গাজা যুদ্ধ নেতানিয়াহুর জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যাকে বলে প্রেস্টিজ ফাইট। শেষ সম্বল টুকু নিয়ে লড়ছে ইসরাইল। গাজার বুকে অবিরত হামলা দেখে গোটা বিশ্ব ভাবছে মধ্যপ্রাচ্যে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন নেতানিয়াহু, কিন্তু ইসরাইলের একের পর এক ভুল নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে কতটা ব্যাকফুটে ইহুদি ভূমি?আমেরিকা ইসরাইল কে পেছন থেকে সাপোর্ট করছে। কিন্তু সেই বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে কতটা সেফ?
চীনের জন্য রীতিমতো ইগো সংকটে ভুগছে মার্কিন প্রশাসন। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক শিথিলে বড় ভূমিকা রেখেছে চীন। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তির দুই দেশ। অতএব, মধ্যপ্রাচ্যে হঠাৎ চীনের উত্থানে চিন্তার ভাঁজ বাইডেনের কপালে। যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ইজরাইলের পরিস্থিতি কি হতে পারে? প্রশ্ন থাকছে। ট্রানজিশন একদিকে প্যালেস্টাইনিদের পিষে মারছে অন্যদিকে আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকে তোড়জোড় চালাচ্ছে ইসরায়েল। আমেরিকার অনুরোধে নেতানিয়াহুর বলয়ে ঢুকেও পড়েছে সুদান, আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ। সৌদি আরবের সাথেও সম্পর্ক শিথিলের আলাপ-আলোচনা চলছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাধ্যমে তা ভেস্তে গেছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
নতুন করে আর কোনো দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহও দেখাচ্ছে না। এদিক থেকেও কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্য শাসনের কূটকৌশল। আর এসব দেখে শুনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে তেলআবিব। শুধু আরব দেশগুলোতেই নয়, ইসরায়েলের পরম মিত্র আমেরিকাও চাইছে না গাজায় এভাবে হামলা চালাক তারা। তাহলে কি যে কোন মুহূর্তে ইসরাইলের পাশ থেকে সরে দাঁড়াতে পারে আমেরিকা? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইসরায়েলের উচিত হবে যুদ্ধ বন্ধ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলছেন, তা মেনে নেওয়া। যদিও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবস্থা এখন অনেকটা অবাস্তব। ইসরাইল অন্তত গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে রেডলাইন এঁকে দিয়েছে, সেটা মেনে চলুক।
নেতানিয়াহু তো সাফ বলে দিয়েছেন গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কন্ট্রোলে রাখা হবে তবে, ভুলে গেলে চলবে না হামাস কিন্তু একা নয়। “হ” এর ক্ষিপ্রতায় নেতানিয হুর দেশের টিকে থাকাই দায়। বুঝতে হবে, মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট ট্র্যাপে পড়ে গেছে ইসরাইল। গাজার হামাস, লেবানন এর হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি, ইরানের ইমাম হুসাইন ব্রিগেড। এই “হ” এর জাল কাটা কিন্তু কঠিন। যুদ্ধে পরিধি কিন্তু দিনকে দিন বাড়ছে। ইহুদি ভূমির উপর কি আরো বড় অ্যাটাকের প্ল্যান রয়েছে? গাজার বুকে কনস্ট্যান্ট হামলা চালিয়ে গেলেও চারদিক থেকে ইসরায়েল এখন আতঙ্কে ভুগছে। থেমে থেমেই হামলা হচ্ছে। ইরানও তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত রাখার কথা বারবার বলে আসছে। তাই পরিস্থিতি সহজেই খুব একটা স্বাভাবিক হবে এমন আশা রাখছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মূলত ইসরায়েলের ভয় ইরান আর সৌদি আরবকে নিয়ে। আমেরিকার নৌকায় উঠে যেভাবে মহাসমুদ্র পার হতে চেয়েছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন, সেটাও আর হবেনা বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফোর্সকে আসলে এটা ছাড়া তাদের হাতে কিছুই নেই। হুবহু এটাই বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাহলে কি ইসরাইল ও নিজেদের বিপদ আঁচ করতে পারছে? সত্যিই কি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার? উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম