।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel-Hamas war: পৃথিবী থেকে ছিটকে গেল ইহুদী ভূমি! গাজার বুকে অক্সিজেনের পাহাড়, কোন আকর্ষণে গোটা বিশ্ব জমে পাথর হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মাটির নীচে? ১৫৩ সংখ্যাতেই বড় রহস্য, ১০ এ থাকলো কারা? নেতানিয়াহুর ভুল চালে ভারতের এই দামী সম্পদ হারালো ইসরাইল থেকে। বিপদ কাটাবে কে? জাতিসংঘের হাতে গাজা রক্ষার মূলমন্ত্র। মাটি কামড়ে বাঁচবে গাজা। প্রাণভোমরা কাদের হাতে? ফাঁড়া কাটছে না ইসরাইল এর বাইডেন ও ছুঁড়লেন শেষ অস্ত্র? বললেন, প্যালেস্টাইনের গাজায় ‘নির্বিচার’বোমা হামলা চালানোর কারণে ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে শুরু করেছে। নেতানিয়াহু ফল ও পেলেন হাতেনাতে। গাজা বাঁচবে নিজের কায়দায়।
বিশ্ব দাঁড়ালো গাজার পাশে। দু মাসের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে ইতিমধ্যেই। নিত্যদিন হতাহতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। সেই আবহে এবার গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে দাবি আরও জোরাল হল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিল ভারত, বাংলাদেশ। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে মৌরিতানিয়া আর মিশর একটা প্রস্তাব তুলেছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। ভারত, বাংলাদেশ সহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইরান, ফ্রান্স, জাপান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব। পাশাপাশি সমস্ত পণবন্দি মানুষজনের নিঃশর্ত মুক্তির প্রস্তাবেও সমর্থন জমা পড়েছে। যেসব দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, গুয়াতেমালা, লাইবেরিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পাপুয়া নিউগিনি আর প্যারাগুয়ে।
২৩টি দেশ ভোট দেয়নি। আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, ক্যামেরুন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, জর্জিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লিথুয়ানিয়া, মালাবি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নেদারল্যান্ডস, পালাউ, পানামা, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ সুদান, টোগো, টোঙ্গা, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, উরুগুয়ে। যদিও এই দেশগুলোর ভোটদান থেকে বিরত থাকা বিশেষ কোনো এফেক্ট ফেলেনি। কারণ গোটা বিশ্ব চায় বেঁচে থাকুক গাজা। বেঁচে থাকুক গাজার নিরীহ মানুষ। তাই গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটা যে পাশ হবে, তা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে, এটাও ঠিক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাশ হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। তবু এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মনোভাব বোঝা যায়। কিন্তু, এরপর কোন পথে হাঁটবেন নেতানিয়াহু? বাইডেনের কথা মেনেই বদলাবেন স্ট্যান্ড পয়েন্ট? প্যালেস্টাইন নিয়ে অবিলম্বে অবস্থান পাল্টানো উচিত নেতানিয়াহুর, বলেছেন বাইডেন। তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র ও সরছে ইসরাইল থেকে?
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস ইজরায়েলের উপর হামলা চালানোর পর থেকে এখনও পর্যন্ত নেতানিয়াহু কে সমর্থন করে এসেছেন বাইডেন। মাঝে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বিরতির পক্ষে ঝুঁকলেও, এই প্রথম তাদের মধ্যে দূরত্ব চোখে পড়ছে। যখন কিনা সরাসরি ইজরায়েলের সমালোচনা করলেন বাইডেন গোড়ার দিকে অধিকাংশ দেশই ইজরায়েলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু যেভাবে নির্বিচারে গাজায় বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েল, তাতে সমর্থন হারাচ্ছে তারা। ঠিক এই কারণেই কি পরিস্থিতি বুঝে ইসরাইল থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? তেমন হলে নেতানিয়াহুর বিপদ রোখে কে? কিভাবে নিশ্চিহ্ন হবে গাজার বুক থেকে হামাস? কিভাবে নিজেদের টার্গেট ফুল ফিল করবে আইডিএফ? অনেক দূর এগিয়ে গেছে ইসরাইল। এখান থেকে পেছানোর আর কোনো রাস্তা বাকি আছে কি?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম