।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel-Hamas: গাজা কি পুরোপুরি ক্যাপচার করে নিল ইজরায়েল? ইজরায়েলের লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক হামাসের খেল খতম গাজায় কেন খাবার-জল বন্ধ করে দেওয়া হল? নেতানইয়াহু বলছেন হামলা তো সবে শুরু। ইজরায়েল থেকে এবার নজর ঘুরে গিয়েছে গাজা স্ট্রিপের দিকে। কারণ বর্তমানে সেখানকার অবস্থা রীতিমত ভয়ানক। গাজায় ভয়ঙ্কর হানা ইজরায়েলের বায়ুসেনার, লাগাতার চলছে এয়ারস্ট্রাইক। যেন ক্ষেপে গিয়েছে ইজরায়েল। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার প্যালেস্তেনীয় শরণার্থী শিবিরে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। সোমবার বিকেলে জাবালিয়া এলাকার ওই শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে নারী ও শিশু-সহ বহু প্যালেস্তেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ইজরায়েল জানাচ্ছে এই হামলার পর ১৫০০ হামাস জঙ্গির দেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এমূহুর্তে যে খবর বিশ্ব চিন্তিত সেটা হল বোমা হামলার পর এবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। এতে বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে, এমনটাই বলছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে। যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের উপর নির্ভর করে বাঁচে। জানা যাচ্ছে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানিও শেষ হয়ে যাবে। গাজা স্ট্রিপের ভৌগলিক অবস্থান কি? ইজরায়েল কী পুরোপুরি ক্যাপচার করে নিয়েছে? ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, “আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে।”
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশ ইসরায়েলের সঙ্গে বাকিটা মিশরের সঙ্গে। গাজার আকাশপথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখান দিয়ে কারা যেতে পারবে এবং কী পণ্য ঢুকতে পারবে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। ফলে ইসরায়েল চাইলেই গাজা ঘিরে অবরোধ জারি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবার যেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটাই করতে চলেছে ইজরায়েল। গাজায় নজিরবিহীন স্থল অভিযানও শুরু করবে ইসরায়েল। আকাশ সমুদ্র দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারির দাবি দুই দিনে তিন লাখ সংরক্ষিত সেনাকে বাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এত সংখ্যক সংরক্ষিত সেনা একত্র করা হয়নি। ইসরায়েল এবার স্থল হামলা শুরু করবে।
জানা যাচ্ছে লেবাননে সক্রিয় হেজবুল্লা বাহিনী ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছে। তারা হামলা চালালে উত্তর ইজ়রায়েলেও লড়াই শুরু হবে আর এই দুই গোষ্ঠীকেই ব্যাকআপ দিচ্ছে ইরান। সারা রাত ধরে গাজা উপত্যকা জুড়ে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভোরের আলো ফোটার পরও হামলা অব্যাহত কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে গাজার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম