।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তানের সেনার বড় শত্রু নওয়াজ শরিফ। খেলা উল্টে গেল হটাৎ করে। ISIর বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার এই শরিফ। শত্রুর শত্রুকে কীভাবে বন্ধু করবেন শরিফ পাকিস্তানের আর্মিকে কোন ঘুষ দেওয়া হবে? নওয়াজ শরিফ কি এবার ঝোপ বুঝে কোপ মারবেন? দেশের জনতা যখন পাক আর্মি প্রতি ক্ষেপে তখন বিদেশে বসেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেইসঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে তুলোধনা করেছিলেন শরিফ। ইমরান খানকে তিনি বলেছিলেন পাক সেনা ও আইএসআইয়ের তোতাপাখি, কিন্তু এবার শরিফ কোথায় যাবেন? পাকিস্তানের কুর্সিতে বসতে গেলে তো সেনাকে বন্ধু বানাতেই হবে। কোন পথে কী ঘুষ দেবে তাঁর দল পাকিস্তান আর্মিকে?
পাকিস্তানের সব চরিত্রগুলোই কেমন যেন বদলে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। নিজের ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়টাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকা নওয়াজ এখন কী একই ভূমিকা পালন করবেন? তিনি বারবার সেনার বিরুদ্ধে যখন বিষোদগার করেছেন তখন পাকিস্তানের সেনাও যে নওয়াজকে খুব একটা ভালো চোখে দেখে না সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে নওয়াজ শরিফের আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাকিস্তানের নির্বাচন যদি সঠিক সময়ে হয় তাহলে তার আগেই একটা বড়সড় টুইস্ট দেখতে পাবেন আপনারা। পিএমএলএনের প্রধান নওয়াজ শরিফকেই আসন্ন নির্বাচনে দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা হবে। নওয়াজের দল এমনটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে। সেটা যেমন ফ্যাক্ট তেমন এটাও সত্যি যে তার আগে ৭৩ বছর বয়সী নওয়াজকে বেশ কিছু বিষয় সামাল দিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য অনেকে নওয়াজের দলকে দায়ী করে থাকে এ বিষয়টি তাঁকে সামলাতেই হবে।
শুধু তা–ই নয় অনেকের আশঙ্কা প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খানকে কারাগারে আটকে রেখে নির্বাচন হলে তা কোনওদিনই সুষ্ঠুভাবে হবে না। আর এখানে সবথেকে বড় পয়েন্ট হল নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বোঝাপড়া করতেই হবে। কারণ, পাকিস্তান কীভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারণে দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনেক বেশি। সেনা কি নওয়াজের টোপ গিলেও ফেলল? মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের বর্তমান সেনা প্রধান আসিম মুনির নওয়াজ শরিফের অতিঘনিষ্ঠ। কারণ সূত্র বলে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় আইএসআইয়ের মাথা থেকে আসিম মুনিরকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এর মানে ইমরান খান মুনিরকে সহ্য করতে পারতেন না। তাই শত্রুর সেই শত্রুকেই বন্ধু বানিয়ে ফেলেছেন শরিফ।
বলে রাখা ভালো এই আসিম মুনির নওয়াজ শরিফের বেশ ঘনিষ্ঠ। সেজন্যই তো দেখুন না নওয়াজের সঙ্গেও সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের তিক্ততা সত্ত্বেও নওয়াজকে আরেকটি সুযোগ তারা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য নাদিম আফজাল চ্যানের দাবি নওয়াজ শরিফ ‘ইয়েস স্যার’ বলার মতো ভূমিকা পালন করবেন না। নাদিম মনে করেন, নওয়াজ তাঁর সীমা সম্পর্কে জানেন সে সীমা কখন ভাঙতে হবে তাও তিনি জানেন। বাকীটা নির্বাচন হলেই বোঝা যাবে কার অবস্থান ঠিক কোথায় তখন হিসেব নিকেশ করলেই বোঝা যাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সেনাকে পকেটে রেখে নওয়াজ শরিফ আদৌ জিততে পারলেন কিনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম