।। প্রথম কলকাতা ।।
Neem Phooler Madhu: মদ খাইয়ে সৃজনকে কাছে টানার প্ল্যান করছে ঈশা! ভুল বুঝবে না তো পর্ণা? ‘নিম ফুলের মধু’র চরম টুইস্ট আসছে। সৃজনের বিপদে পর্ণা কি পাশে দাঁড়াবে নাকি ভুল বুঝবে? কোন দিকে মোর ঘুরতে চলেছে ধারাবাহিকের?এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত সেরার সেরা বাংলা সিরিয়াল গুলির মধ্যের অন্যতম হল ‘নীম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকের নায়িকা পর্ণার ঘরে বাইরে দুদিকে শত্রুর অভাব নেই। তবে পর্ণা যখন তখন নিজের বুদ্ধি দিয়েই শত্রু পক্ষকে একেবারে ঘায়েল করে দিতে পারে।
ইদানিং এই ধারাবাহিকের এসেই চলেছে একের পর এক নতুন চমক। মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের সাদামাটা গল্পই এই সিরিয়ালের অন্যতম মূল ইউএসপি। এছাড়া এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকার সৃজন-পর্ণার জুটি দর্শকমহলে দারুণ জনপ্রিয়। যদিও বিগত কয়েক মাস ধরে তাদের এই সম্পর্কটা অনেক ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তবে বিয়ের এক বছর পর অবশেষে মিঠের হদিশ পেয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’র পর্ণা। এতদিন পর সৃজনকে নিজের মনের কথা জানিয়েছে সে। কিন্তু এখন আবার নতুন বিপদের মুখে!
বর্তমানে পর্ণা একটা অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছে। যে কারণে তাকে এবং রুচিরাকে একটা রাত বাড়ির বাইরে থাকতে হবে। কাজ মিটিয়ে পরের দিন ফিরে আসবে তারা। এদিকে পর্ণা একদিন বাড়ি থাকবে না শোনা মাত্রই ভীষণ খুশি হয়ে যায় ঈশা। সে মৌমিতাকে বলে, এবার পর্ণা মজা দেখবে। পর্ণার বাড়ি না থাকার সুযোগটাকে কাজে লাগায় অয়ন, মৌমিতা এবং ঈশা। অয়ন ইচ্ছা করে সৃজনকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে মদ খাওয়ায়। সৃজনের এত নেশা হয়ে যায়, সে ঠিক মতো দাঁড়াতে অবধি পারছিল না।
অয়ন তখন সৃজনকে ধরে ধরে ঘরে নিয়ে যায়। এদিকে সৃজনের নেশা হয়ে গিয়েছে দেখে বেজায় খুশি হয়ে যায় ঈশা। সে বলে, এবার শুরু হবে আসল খেলা। ঈশার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, সৃজন-পর্ণাকে আলাদা করতে বিরাট বড় কোনও ষড়যন্ত্র করেছে সে। তারপর সৃজন নেশার ঘরে ঘুমিয়ে পড়তেই মৌমিতা, কৃষ্ণা সকলের অনুমতি নিয়েই পর্ণার সামনে সৃজনকে বদনাম করার জন্য রাতভর সৃজনের পাশেই শুয়ে ছিল ইশা। আর গোটা বিষয়টাকে তারা ক্যামেরাবন্দিও করে রেখেছে প্রমাণ হিসাবে। অন্যদিকে নেশার ঘোরে থাকায় গত রাতের ঘটনা তার কিছুই মনে থাকে না। আগামী পর্বে দেখা যাবে সৃজনের সামনে ইশা ন্যাকামি করে কান্নাকাটি করতে করে বলবে তার মান সম্মান সবকিছু শেষ হয়ে গেল।
তখন তার অবস্থা দেখে বেশ খারাপ লাগবে সৃজনের। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে মৌমিতা ইশাকে সান্তনা দিয়ে বলবে তাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। সৃজন তার মাথায় সিঁদুর তুলে দিয়ে তাকে সমস্ত অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাবে। অন্যদিকে তখন পর্ণার হাত থেকে তার সিঁদুরের কৌটা পড়ে যায়। তখন পর্ণা ভাবে নিশ্চয়ই কোন গন্ডগোল ঘটেছে। এবার দেখার পর্ণা সৃজনকে এই বদনামের হাত থেকে বাঁচাতে পারে? নাকি সে এসে ভুল বোঝে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম